এই নীতিমালা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে মঙ্গলবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘কণ্ঠরোধে নয়’ বরং গণমাধ্যমকে ‘এগিয়ে নিতেই’ জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় রেডিও ও টেলিভিশনের জন্য এই নীতিমালা প্রণয়নের পর থেকে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন একে ‘মুক্ত সাংবাদিকতার বাধা’ বলে মন্তব্য করে আসছে।
রাজধানীর লেইকশোর হোটেলের আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, “নীতি মানে কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করা নয়। সম্প্রচার আইন না হওয়া পর্যন্ত এটি গণমাধ্যমের জন্য একটি দিক-নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।”
এই নীতিমালা প্রণয়নের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ““জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে কেউ নয়। আমরা অবাধ স্বাধীনতার কথা বলছি, কিন্তু এর মানে অন্যের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়। সাংবাদিকতা মানে নিউজ ডিস্টরশন নয়।”
সশস্ত্র বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় অথবা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ায়- এমন বিষয় প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গত ৪ অগাস্ট এই নীতিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর গত ৮ অগাস্ট নীতিমালার গেজেট প্রকাশ করে তথ্য মন্ত্রণালয়। নিয়মানুযায়ী ওই দিন থেকেই নীতিমালাটি কার্যকর হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “তথ্য মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে একটি স্বাধীন কমিশনের হাতে ক্ষমতা দেয়ার লক্ষ্যে এ নীতিমালা নেয়া হয়েছে।”
ইংরেজী দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউন ও বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরাম আয়োজিত এই আলোচনা সভায় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সামিয়া জামান, ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার করিম, কলামনিস্ট মো. জাহাঙ্গীর, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু নাসের রাজীব, এটিএন নিউজের উপ-বার্তাপ্রধান প্রভাস আমীন প্রমুখ।