পৌঁছেই তল্লাশি শুরু ‘কাণ্ডারির’

পদ্মায় ডুবে যাওয়া লঞ্চের অবস্থান খুঁজে বের করতে শক্তিশালী যন্ত্রপাতি নিয়ে  টাগবোট ‘কাণ্ডারি-২’ মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পৌঁছেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোও মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2014, 10:51 AM
Updated : 6 August 2014, 06:27 PM

বুধবার রাত ১২টার দিকে টাগবোটটি মাওয়ায় পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে বলে কাণ্ডারি-২ এর ক্যাপ্টেন মঞ্জুর জানিয়েছেন।

ডুবে যাওয়া লঞ্চটি সনাক্ত করতে সমুদ্র জরিপে ব্যবহৃত ‘সাইড স্ক্যান সোনার’ ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ ও ‘সাব বটম প্রোপেলার’ নিয়ে এসেছে নৌযানটি।

মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া আসার পথে সোমবার বেলা ১১টার দিকে পদ্মায় ডুবে যায় পিনাক-৬ লঞ্চ, যাতে যাত্রী সংখ্যা ছিল অন্তত সাড়ে তিনশ।   এর মধ্যে ১১০ জনকে জীবিত উদ্ধার এবং ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

এখনো ১২৩ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে মাওয়া ঘাটে জেলা প্রশাসনের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সারা রাত ও বুধবার সকালে কয়েকটি নৌযান নিয়ে ‘ল্যাডার স্ক্যানার সার্চ’ চালিয়েও লঞ্চটির অবস্থান সনাক্ত করতে পারেননি উদ্ধারকর্মীরা।

উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও নির্ভীক এবং বিআইডব্লিউটিএর জাহাজ, টাগ বোট, স্পিডবোট মিলিয়ে অন্তত ১৫টি নৌযান মাওয়ায় থাকলেও লঞ্চের অবস্থান জানতে না পারায় উদ্ধার অভিযান কার্যত শুরুর জায়গাতেই আটকে আছে।

উদ্ধার অভিযানে থাকা নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন নজরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে যে সাইড স্ক্যান সোনার দিয়ে কাজ চলছে, তা নদীর গভীরে ৭৫ ফুট পর্যন্ত এলাকা স্ক্যান করতে পারে। এ কারণে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের সার্ভে ভেসেল জরিপ-১০ কে ডেকে পাঠানো হয়। ওই নৌযানের যন্ত্রপাতি দিয়ে আড়াইশ’ ফুট পর্যন্ত স্ক্যান করা যায়।

সে অনুযায়ী জরিপ-১০ মঙ্গলবার দুপুরে মাওয়ার পথে রওনাও হয়। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় সেটি সন্দ্বীপ চ্যানেলের কাছাকাছি এলাকা থেকে আবার বন্দরে ফিরে যায়।

এরপর জরিপ-১০ এর সঙ্গে থাকা টাগবোট কাণ্ডারি-২ যন্ত্রপাতি নিয়ে মুন্সীগঞ্জের পথে রওনা হয় বলে বন্দর কর্মকর্তারা জানান।