তবে একই সঙ্গে রওনা দেওয়া অপর জাহাজ টাগবোট কাণ্ডারি-২ ওই জাহাজের যন্ত্রপাতিসহ মুন্সীগঞ্জের পথে রয়েছে।
ফিরে যাওয়ার সময় জরিপ-১০ এর বহনযোগ্য তিনটি যন্ত্র ‘সাইড স্ক্যান সোনার’, ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ ও ‘সাব বটম প্রোপেলার’ কাণ্ডারি-২-তে তুলে দেয়া হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ‘জরিপ-১০’ ও কাণ্ডারি-২ মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বর্হিনোঙ্গরের সন্দ্বীপ চ্যানেলের কাছাকাছি জায়গা থেকে জরিপ-১০ ফিরে আসে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার মেরিন) কমোডর মোহাম্মদ শাজাহান জানান, তিন নম্বর বিপদ সংকেতের মধ্যে বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল রয়েছে। সাগরে প্রবল ঢেউ থাকায় ছোট এ জাহাজটি ফিরে এসেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কাণ্ডারি-২ এখন হাতিয়া পর্যন্ত পৌঁছেছে। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ এটি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছবে বলে আশা করছি।”
কাণ্ডারি-২ এ চট্টগ্রাম বন্দরের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের একটি টিমও রয়েছে বলে জানান কমোডর শাজাহান।
বন্দর কর্মকর্তাদের মতে, বন্দরের এ জাহাজের সাইড স্ক্যান সোনার যন্ত্রটি অনেক শক্তিশালী যেটির সাহায্যে নদী বা সমুদ্রের ২০০ মিটারেরও বেশি গভীরে কোনো বস্তুকে শনাক্ত করা যায়।
সাব বটম প্রপেলার দিয়ে বালি ও মাটির নিচের বস্তু শনাক্ত করা যায়।
এর আগে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জাহাজের অবস্থান শনাক্ত করতে চট্টগ্রাম থেকে বিশেষায়িত জাহাজ জরিপ-১০ আনা হচ্ছে।
বেলা ১১টার দিকে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়ার কথা থাকলেও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সেটি বেলা ১২টার দিকে ছাড়ে।
মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি থেকে মাওয়া ঘাটে যাওয়ার পথে সোমবার বেলা ১১টার দিকে পদ্মায় ডুবে যায় পিনাক-৬ নামের লঞ্চটি।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ওই লঞ্চের ১২৭ জন যাত্রী এখনো নিখোঁজ; উদ্ধার করা হয়েছে দুটি লাশ।