তুরাগ ও বালু নদীর সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ

বর্ষার এই ভরা মৌসুমে তুরাগ ও বালু নদীর সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2014, 10:12 AM
Updated : 24 July 2014, 10:12 AM

একটি আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদেশ পাওয়ায় ১৪ দিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। একই সময়ের মধ্যে এই দুই নদীর সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ শুরু করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা সচিব, পরিবেশ সচিব, অর্থ সচিব, নৌ-পরিবহন সচিব, যোগাযোগ সচিব, পানি সচিব, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান, ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।

টঙ্গীর কামারপাড়া এলাকায় তুরাগ নদী ভরাট, স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে অপর একটি আবেদনে আদেশ দেয় আদালত। আদেশে ওই এলাকার সব নির্মাণ কাজ বন্ধ, স্থাপনা ও বালু অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়।

পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অন্য বিবাদীদের ৭দিনের মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

সীমানা পিলারের আবেদন দায়েরের দিন মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের আদেশ অনুসারে বুড়িগঙ্গায় সীমানা পিলার স্থাপনে কাজ হয়েছে। শীতলক্ষ্যায় কাজ চলছে। তুরাগ ও বালু নদীতে কাজ শুরু হলেও প্রকৃত সীমানায় পিলার স্থাপন না করায় জনদাবীর মুখে পিলার স্থাপন বন্ধ করে দেয়া হয়।

“এরপর দুই বছরেও সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ পুনরায় শুরু না করায় নদী অনেক জায়গায় দখলদারদের হাতে চলে গেছে। নদীর সীমানায় বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে অস্থায়ী দখল চলছে।”

একই সংগঠনের একটি রিট আবেদনে ২০০৯ সালে হাই কোর্ট ঢাকাকে ঘিরে থাকা বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগসহ আশপাশের নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষায় একটি রায় দেয়, যা ঢাকার চার নদী রক্ষার রায় হিসেবে পরিচিতি পায়।

হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রায় দিয়ে রিটটি চলমান হিসেবে রাখেন। ওই রিটের আওতায় নতুন করে এই আবেদন করেছে সংস্থাটি।

রায়ে সিএস ও আরএস মানচিত্র অনুসারে ২০০৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, বুড়িগঙ্গা ও বালু নদীর সীমানা জরিপ করতে বলা হয়েছিল।

পাশাপাশি পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সীমানায় হাঁটার পথ বা বৃক্ষরোপণ করতে বলা হয়। একই সময়ের মধ্যে নদীর সীমানায় অবস্থিত সব স্থাপনা অপসারণ করার নির্দেশ দেয় আদালত।

ঢাকাকে ঘিরে থাকা চার নদীর নাব্যতা রক্ষায় দেয়া রায় পুনর্বিবেচনায় পাঁচটি আবেদন গত সোমবার খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। এর ফলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে পাঁচ প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা উচ্ছেদের বাধা দূর হয়।