বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমনে গঠিত বিশেষ বাহিনী র্যাবকে ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে দাবি করে এই বাহিনীকে ভেঙে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি, যা রোববার তারা জানিয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কর্নেল জিয়া সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নারী-শিশুসহ শতশত নিরাপরাধ মানুষ মারা যাচ্ছে। এই হামলার প্রতিবাদে হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে এসময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া জরুরি।”
গাজায় গত ১৪ দিন ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও স্থল অভিযানে পাঁচ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের এই অভিযানকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে বেসামরিক মানুষকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।
গাজা পরিস্থিতি নিয়ে এইচআরডব্লিউ’র বিবৃতি
এইচআরডব্লিউ’র চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার র্যাব সংস্কারের মধ্য দিয়ে এ বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করে এলেও তা পূরণে ‘পুরোপুরি ব্যর্থ’হয়েছে।
“র্যাবকে এখন আর সংস্কার করে চালানো সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি না। আইনের ঊর্ধ্বে থেকে কোনো ধরনের জবাবদিহিতার তোয়াক্কা না করে র্যাব পরিচালনার একটি সংস্কৃতি তৈরি হয়ে গেছে। এই অবস্থায় এ বাহিনীকে অবশ্যই বিলুপ্ত করতে হবে, যাতে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা হয়।”
তাদের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে কর্নেল জিয়া বলেন, “র্যাব কখনো বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড ঘটায় না। র্যাব অপরাধ দমনে শুরু থেকে কাজ করে যাচ্ছে ভবিষ্যতেও কাজ করবে।”
নারায়ণগঞ্জের সাত হত্যাকাণ্ডে র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠার পর এই বাহিনীকে বিলুপ্ত করার দাবি তোলেন খালেদা জিয়া, যিনি র্যাব গঠনের সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
টাকার বিনিময়ে নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে খুনের অভিযোগ ওঠার পর র্যাবের দায়িত্বশীল তিন কর্মকর্তাকে সামরিক বাহিনী থেকে অবসরে পাঠানোর পর আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা এখন কারাগারে রয়েছেন।
কর্নেল জিয়াউল আহসান
এছাড়া বাহিনীর কেউ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে নিজস্ব তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অসংখ্য নজির রয়েছে বলেও জানিয়েছেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
র্যাব বিলুপ্তির দাবি বিএনপি চেয়ারপারসন তোলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চট করে এই বাহিনী বন্ধ করা সম্ভবপর নয়।