এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের নয়টি মামলায় জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান আটজন এবং বিএনপির দুই নেতাকে দণ্ডাদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। গত বছর ফেব্রুয়ারির শেষদিকে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা হয়।
ওই সব সব ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে মঙ্গলবারের নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শহিদুল হক সোমবার বিকালে বিডিনিউিজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিজামীর রায়কে কন্দ্রে করে কেউ আইনভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তাকে কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।”
এ ব্যাপারে দেশের প্রতিটি ইউনিটকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
একাত্তরে আলবদর বাহিনীর প্রধান নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন রেখেছে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা, লুট, ধর্ষণ, পাকিস্তানি সেনাদের উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার মতো ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে জামায়াতের তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রসংঘের প্রধানের বিরুদ্ধে।
আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে রায় সবাই মেনে নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ পুলিশের দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা শহিদুল হক।
কারো রায় পছন্দ না হলে তিনি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন জানিয়ে তিনি বলেন, “তবে কোনভাবে অন্যের শান্তি বিঘ্ন করলে সেখানে যা যা করা প্রয়োজন পুলিশ তাই করবে।”
এদিকে র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রায়কে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও যেন নাশকতামূলক কোন কর্মকাণ্ড না ঘটে সে ব্যাপারে র্যাবকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
“আমরা প্রস্তুত আছি, সব ধরনের বিশৃঙ্খলারোধে,” বলেন তিনি।
রাজধানীসহ সারা দেশে আদালত, সরকারি দপ্তর, পেট্রোল পাম্পসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনায় সোমবার থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পাশপাশি গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তারা।
র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রায়কে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রায় আট হাজার র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশপাশি ডগ স্কোয়াড ও বোমা বিশেষজ্ঞ দল গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি চালাবে।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও র্যাবকে সহায়তা করতে সোমবার সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীতে নেমেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা জানান, প্রাথমিকভাবে রাজধানীতে বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে দেশের অন্যান্য স্থানেও তাদের মোতায়েন করা হবে।