মঙ্গলবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ৪টি সন্তানের জন্ম দেন গৃহবধু জেবা খাতুন (১৮), যার মধ্যে দুটি মেয়ে এবং দুটি ছেলে।
অনুভুতি জানতে চাইলে একসঙ্গে চার সন্তানের জননী জেবা প্রসবজনিত ক্লান্তি সত্ত্বেও বলে গর্বিত ভঙ্গিতে বলেন, “অনেক কোটিপতির ঘরোত (ঘরে) সন্তান নাই। আল্লা হামার কোলোত (কোলে) একে একে ৪টা ছল (সন্তান) দিছে।
“হামি (আমি) খুব খুশি। যত কষ্টই হোক হামি ছলগুলোন (সন্তানদের) মানুষ করমো।”
প্রসূতি বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেবা খাতুন গত ৫ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন।
মঙ্গলবার প্রসব ব্যাথা উঠলে তাকে ‘লেবার রুমে’ নেয়া হয়। সেখানে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রথম সন্তান (ছেলে) ভূমিষ্ঠ হয় সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে। এর ৮ মিনিট পর দ্বিতীয় সন্তানটি (মেয়ে) পৃথিবীতে আসে।
এরও প্রায় আধঘন্টা পর ১১টা ২৫ মিনিটে তৃতীয় শিশু (ছেলে) এবং ১২টায় চতুর্থ সন্তান (মেয়ে) জন্ম দেন তিনি।
নবজাতকদের ওজন এক কেজি ২০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ৯০০ গ্রামের মধ্যে।
কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সালমা খাতুন জানান, মা এবং ৪ সন্তানই সুস্থ রয়েছে। তবে শিশুদের ওজন তুলনামূলক কম হওয়ায় তাদেরকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।
বগুড়া শহরের গন্ডগ্রাম এলাকার রিকশা চালক বেলাল মন্ডলের ছেলে রায়হান মন্ডলের (২০) সঙ্গে প্রায় আড়াই বছর আগে জেবা খাতুনের বিয়ে হয়। রায়হান বাড়ির কাছে বনানী এলাকায় একটি মোটরগাড়ির গ্যারেজে কাজ করেন।
এক সঙ্গে ৪ নাতি-নাতনিকে পেয়ে খুশি জেবার শ্বাশুড়ি হালিমা খাতুনও।
হালিমা জানান, তার একসঙ্গে ৪টি নাতি-নাতনি হওয়ার খবরে কেউ কেউ লালন-পালনের আগ্রহ দেখিয়েছেন।
তবে নাতি-নাতনিদের কারো হাতে তুলে দিতে নারাজ হালিমা বলেন, “ওরা হামার সাত রাজার ধন। ওর কেরেক (ওদের) কারো কাছেই দিমো (দিব) না। যত কষ্টই হোক হামরা মানুষ করমো।”