আদালতেরহাকিমের রুদ্ধদ্বার কক্ষে দেয়া এই জবানবন্দির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে নারায়ণগঞ্জআইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্য ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
কাউন্সিলরনজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে খুনের মামলায় র্যাবের সাবেকদুই কর্মকর্তা আরিফ হোসেন ও এম এম রানা গত সপ্তাহে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলকজবানবন্দি দেন।
হাকিমেরকাছে দেয়া তাদের জবানবন্দির বিভিন্ন দিক সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে আসছেন আইনজীবীনেতা সাখাওয়াত। এই খুনের বিচার দাবির আন্দোলনে নেতৃত্বে থাকা এই আইনজীবীবৃহস্পতিবার হুমকি পাওয়ার কথাও পুলিশকে জানিয়েছেন।
শনিবার র্যাবেরমুখপাত্র এ টি এম হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, জবানবন্দির ভিত্তিতের্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে গত ৬ জুন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ‘কাল্পনিক’ নাম প্রকাশ করা হয়েছে, যা ‘বিভ্রান্তিমূলক’।
হত্যাকাণ্ডেরতদন্ত কার্যক্রমকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে তা প্রচার করা হচ্ছে দাবিকরে এতে বলা হয়, “আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক যে কোনো জবানবন্দিইআইন অনুযায়ী অতি গোপনীয়, যা অন্য কারো জানার অবকাশ নেই।
“অথচ আদালতে দেয়া জবানবন্দির মাত্র ১০মিনিটের মধ্যে একজন আইনজীবী তা উদ্ধৃত করে র্যাব সদর দপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকেজড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
সাত খুনে জড়িতথাকার অভিযোগ উঠলে র্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ তিন কর্মকর্তাকেআদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয়। এই তিনজনকে ইতোমধ্যে সামরিক বাহিনী থেকে অবসরেপাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার সাবেক র্যাব কর্মকর্তা এম এম রানা, তিনিও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালতেদেয়া জবানবন্দিতে এই দুজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতনকর্মকর্তার নির্দেশে এই কাজ করেছেন বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়।
তারপ্রতিবাদে পাঠানো বিবৃতিতে র্যাব আরো বলেছে, “একটি মহল র্যাবেরঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তথা র্যাবের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।”
নারায়ণগঞ্জহত্যাকাণ্ডের তদন্তে র্যাবকে যুক্ত করার নির্দেশ রয়েছে হাই কোর্টের। তবে বাহিনীরসদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তাদের বলা হয়েছে, সেই তদন্ত র্যাব চালিয়েযাচ্ছে।
র্যাব বলেছে,“জবানবন্দিতে র্যাব সদর দপ্তরের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ থাকলেদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, এটাই নিয়ম।”
এই ঘটনায় যারাইজড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও বিবৃতিতেবলা হয়।