যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে সংশয় নয়: শেখ হাসিনা

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিচার হবেই।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2014, 02:52 PM
Updated : 31 May 2014, 03:07 PM

শনিবার গণভবনের সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না।”

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের গতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাকে প্রশ্ন করেন না। আমার কাজ আমি করবো।

“অস্থির হয়েন না। অস্থির হয়ে লাভ নেই। বিচার হবেই।”

আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন না করার অনুরোধ জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বান-কি মুন টেলিফোন করেছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশে কার এত সাহস আছে এরপরও এই ফাঁসি দিতে পারে?”

“এই সাহস দেখাতে পারে বঙ্গবন্ধুর কন্যা।”

১৯৭২ সালে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলেও জিয়াউর রহমান সামরিক আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক অধ্যাদেশ জারি করে সেই বিচার বন্ধ করে দেয় এবং যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল, তাদের পুনরায় নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করল, এটা নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন তোলেন না?”

‘জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর যারা প্রশংসা করেছিল, তারাই এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে’ বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। 

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের জন্য দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের সুযোগ আপাতত নেই বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যে সমর্থন দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “জামাতের বিচার নিয়ে কেন এত হৈ চৈ?”

“এত অস্থিরতা কেন? বোধগম্য নয়,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।

 “আমাদের মন্ত্রী তো ঠিকই বলেছেন। আইনগতভাবে যেটা বাস্তব, সেটা বলেছেন।”

শেখ হাসিনা তার তৃতীয় মেয়াদের প্রধানমন্ত্রীত্ব কতটুকু উপভোগ করছেন- এরকম এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা পাল্টা বলেন, “উপভোগ করার কী আছে? এটা তো কঠিন দায়িত্ব।”

সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচন দেবে কি না-এই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, “মধ্যবর্তী নির্বাচন চান? আবার খুন-খারাবি চান? আমি তা হলে দিয়ে দেই?”

“যে আন্তরিকতা নিয়ে আমি কাজ করবো, অন্য কেউ করবে না,” বলেন প্রধানমন্ত্রী।