বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে এই প্রতিবেদন উপস্থাপিত হলে বেঞ্চের দুই বিচারক বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে নতুন করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সাংবাদিককে চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানানো নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গঠিত এই এই তদন্ত কমিটি ওই সংবাদকর্মী ও তার স্ত্রীর বক্তব্য বিবেচনায় নেয়নি বলে আদালতের চোখে ধরা পড়েছে।
তাই নতুন আদেশে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে ওই প্রতিবেদন দিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের মারামারির কয়েকদিন পর গত ৬ মে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ফিরে আসতে হয় বলে অভিযোগ নতুন প্রভাতের আলোকচিত্র সাংবাদিক গুলবার আলী জুয়েলের।
তার এই ঘটনা গণমাধ্যমে এলে তা দেখে গত ৮ মে হাই কোর্ট উষ্মা প্রকাশের পর রাজশাহী মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে।
চার সদস্যের ওই কমিটির প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুসারে রোগীকে চিকিৎসা না দেয়া বা হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া সঠিক নয়।
“রোগীর স্ত্রী তখন কর্তৃপক্ষের নিকট কোনো অভিযোগ করেন নাই। পরবর্তী পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ওই সাংবাদিক কাউকে কিছু না বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। রোগী ও তার স্ত্রী অজানা শঙ্কা থেকে হাসপাতাল ত্যাগ করে নিয়মবিরোধী কাজ করেছেন।”
তদন্ত কমিটিকে দেয়া বক্তব্যে সাংবাদিক জুয়েল বলেন, হাসপাতাল থেকে তাকে চিকিৎসা না দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছিল।
তবে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে বলেছে,শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ঠাট্টাচ্ছলে ওই কথা বলেছিলেন।