বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে গাজীপুর হাসপাতালে নেয়া হয়।
ঘণ্টাখানেক পর তাকে পুনরায় কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয় বলে কারাধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
হাসপাতালে নেয়ার পর চক্ষু বিশেষজ্ঞ বিপ্লব কুমার হোড় কারাবন্দি নিজামীর চোখ পরীক্ষা করেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিজামীর বাম চোখের লেন্সে ময়লা জমেছে। এ সমস্যার সমাধানে লেজার রশ্মি প্রয়োগ করতে হবে।
এছাড়াও নিজামীর হাড়ের সমস্যা রয়েছে। অর্থোপেডিক চিকিৎসক ওয়াকিল উদ্দিন আহমদ তাকে দেখেন।
ডা. বিপ্লব বলেন, নিজামীর চোখের সমস্যার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও মেরুদণ্ডে ব্যথা থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে ঢাকার বারডেম বা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
অসুস্থতার খবর শুনে নিজামীর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে যান।
নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চিকিৎসকরা তার বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি জানান, ১৪ বছর আগে নিজামীর বাম চোখে ছানি অপসারণে অস্ত্রোপচার হয়। এখন তিনি ওই চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছেন না।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাবেন বলে নিজামীর ছেলে জানান।
কারাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কারা নিয়ম সম্পন্ন করে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামায়াত আমিরকে ঢাকায় পাঠানো হবে।
নিজামীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলাটি বর্তমানে রায়ের জন্য অপেক্ষমান। প্রায় চার বছর ধরে তিনি কারাগারে রয়েছেন।