গত রোববার সদর দপ্তরে আনার পর তা নিয়ে পুলিশ ও র্যাবের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে মঙ্গলবার ১৮ সদস্যকে পুনর্বহালের কথা জানায় র্যাব।
র্যাব-৩ এর অপরাধ প্রতিরোধ কোম্পানি (সিপিসি)-৩ এর কমান্ডার মেজর আলী আহসানসহ ওই কোম্পানির ১৮ সদস্য এখন আগের দায়িত্বই পুনরায় পেলেন।
র্যাবের কর্মকর্তাদের সরিয়ে আনাকে পুলিশ ‘প্রত্যাহার’ বললেও র্যাব বলছিল, ওই ১৮ কর্মকর্তাকে সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছিল।
র্যাবের মুখপাত্র হাবিবুর রহমান মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “র্যাব-৩ এর যে সব সদস্যদের র্যাব সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছিল, আজ ( মঙ্গলবার) তাদের প্রত্যেকে স্বস্ব ইউনিটে নিযুক্ত করা হয়েছে।”
“এটি র্যাবের নিয়মিত কাজের একটি অংশ। এটাকে অন্য কোনোভাবে দেখার সুযোগ নেই,” বলেন তিনি।
র্যাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে অর্থ সরিয়ে নেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে হাবিবুর জানিয়েছেন।
সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশ পরিচালিত ‘ডিএমপি নিউজ’ ওয়েবসাইটে বলা হয়েছিল, র্যাব সদস্যরা কুমিল্লার চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছে থাকা দেড় লাখ টাকার মধ্যে ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এই ঘটনায় র্যাবের ওই কোম্পানির সব সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।
পরে ডিএমপি নিউজ ওই খবরটি ওয়েবসাইট থেকে তুলে নেয়। এরপর র্যাব পুলিশের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচারের’ অভিযোগ এনে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায়।