ঢাকা মহানগর পুলিশ পরিচালিত ওয়েবসাইট ‘ডিএমপি নিউজে’ সোমবার সকালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন পরে সরিয়ে নেয়া হয়, যাতে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় তিন র্যাব সদস্যকে প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছিল।
র্যাব বলছে, র্যাব-৩ এর অপরাধ প্রতিরোধ কোম্পানি (সিপিসি)-৩ এর কমান্ডার মেজর আলী আহসানসহ ওই কোম্পানির সব সদস্যকে রোববার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে র্যাব সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গত শুক্রবার এই কোম্পানির সদস্যরা ঢাকায় কুমিল্লার চার ব্যক্তিকে আটকের পর তাদের কাছে থাকা দেড় লাখ টাকার ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
ডিএমপি নিউজে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছিল, র্যাব সদস্যরা দেড় লাখ টাকাসহ চারজনকে আটক করলেও জব্দ তালিকায় দেখানো হয় ৬০ হাজার টাকা। অবশিষ্ট ৯০ হাজার টাকা তারা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়।
এ ঘটনায় আটকদের পরিবারের সদস্যরা র্যাব সদরদপ্তরে অভিযোগ করলে বাহিনীটির নিজস্ব তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়ার পর সিপিসি-৩ এর সব সদস্যকে সদরদপ্তরে প্রত্যাহার করা হয়।
সোমবার সকালে এই খবর পাওয়ার পর র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমানও তাদের প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছিলেন।
পরে র্যাবের মুখপাত্র এটিএম হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,সিপিসি-৩ এর সদস্যদের প্রত্যাহার নয়, সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এরপর ডিএমপির ওয়েবসাইট থেকে সংবাদটি তুলে নিয়ে এর ব্যাখ্যায় বলা হয়, “সংবাদটি ডিএমপি নিউজ পোর্টালের সংবাদ প্রচার নীতিমালার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
নারায়ণগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে বাহিনীর তিন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠার পর দৃশ্যত চাপে থাকা র্যাব ডিএমপি নিউজের সংবাদ দেখার পর ঢাকা মহানগর পুলিশকে একটি চিঠি পাঠায়।
হাবিবুর রহমানের পাঠানো ওই চিঠিতে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের প্রসঙ্গ টেনে কুমিল্লার ঘটনায় র্যাব সদস্যদের প্রত্যাহার নিয়ে ডিএমপি নিউজে প্রকাশিত ওই সংবাদকে ‘উদ্দেশ্যমূলক ও বানোয়াট’ বলে উল্লেখ করা হয়।
“তাছাড়া দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এহেন কর্মকাণ্ডের কারণে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় সকলকে।”
র্যাবে সবসময় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয় দাবি করে হাবিুবর রহমান বলেন, “র্যাবের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে তা যথাযথভাবে যাচাইবাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে।”
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনে র্যাব-১১ এর অধিনায়কসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাদের সরিয়ে এনে সামরিক বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়।
পরে তাদের গ্রেপ্তারের পর এখন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এই হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।