৩৩ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির সুপারিশ

নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন জমা দেননি দশম সংসদ নির্বাচনের ৩৩ প্রার্থী, যাদের মধ্যে ৯ জন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2014, 07:50 AM
Updated : 15 May 2014, 07:50 AM

এদের মধ্যে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজও রয়েছেন।

অবশ্য তারা নির্ধারিত সময়ের দুইদিন পর হিসাব জমা দেন। তবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ব্যয় হিসাব জমাই দেননি।

ইতোমধ্যে কুমিল্লা-৫ আসনের এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক সাংবাদিকদের জানান, আইনে বলা আছে নির্ধারিত সময়ে ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। সুতরাং নির্ধারিত সময়ের একদিন পরে কেউ যদি হিসাব জমা দেন, সেটাও আইনের লঙ্ঘন।

ির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ফলাফল গেজেটে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনী ব্যয়ের বিবরণী সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে এবং এর অনুলিপি ইসি সচিবালয়েও পাঠাতে হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করবে। বিধান লঙ্ঘনের শাস্তি দুই থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। এই সময় এখনো পার হয়নি।

সিদ্ধান্তের জন্য কমিশনে উপস্থাপিত কার‌্যপত্রে ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-১ শাখা জানায়, ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন জমা দেয়নি।এরমধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেছেন ও একজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাকি আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়নি।

যারা রিটার্ন জমা দেননি

কুমিল্লা-৫ আসনের সফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে আরপিও ৪৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২৯ এপ্রিল বুড়িচং থানায় মামলা [নম্বর ৫৫] রুজু করা হয়েছে।

ইসির তথ্য মতে, লালমনিরহাট-১ আসনের পরাজিত প্রার্থী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি এ আসনে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব না দিলেও যথাসময়ে  রংপুর-৩ আসনে জয়ী  হয়ে রিটার্ন দেন এ সাংসদ।

টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাংসদ শওকত মোমেন শাহজাহান ইতোমধ্যে মারা গেছেন।

এছাড়া রয়েছেন পরাজিত প্রার্থী লক্ষ্মীপুর-১ মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, লক্ষ্মীপুর-৪ এ কে এম শরিফ উদ্দিন ও বেলাল হোসেন,  বরিশাল-৪ শেখ জয়নাল আবেদীন, শেরপুর-৩ হেদায়েতুল ইসলাম ও এস এম আব্দুর রাজ্জাক, সুনামগঞ্জ-৫ মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

৭ ফেব্রুয়ারির পরে যারা জমা দিয়েছেন

ডেপুটি স্পিকার গাইবান্ধা-৫ আসনের মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি ১৭ ফেব্রুয়ারি রিটার্ন জমা দেন।

প্রধান হুইপ পটুয়াখালী-২ আসনের আ স ম ফিরোজ; তিনি ৯ ফেব্রুয়ারি ব্যয় হিসাব জমা দেন।

এছাড়া সংসদ সদস্য ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের ইয়াসিন আলী, ভোলা-২ আলী আজম, সুনামগঞ্জ-১ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, কুমিল্লা-৩ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, খুলনা-১ ননী গোপাল মন্ডল, চট্টগ্রাম-২ আসনে তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও চট্টগ্রাম-১১ এম আবদুল লতিফ।

পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- লালমনিরহাট-১ আসনের ছাদেকুল ইসলাম, লালমনিরহাট-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের, ঝিনাইদহ-৩ কামরুজ্জামান স্বাধীন, ভোলা-২ মো. ছালাউদ্দিন, ময়মনসিংহ-৭ হাফেজ রুহুল আমিন, মুন্সিগঞ্জ-২ মো. আবদুল ওয়াদুদ, সুনামগঞ্জ-৩ আজিজুস সামাদ আজাদ, কুমিল্লা-১ আবু জায়েদ আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম-২ নাজিম উদ্দিন, দিদারুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৯ আলী আহমদ নজির, আবু হানিফ, চট্টগ্রাম-১৩ তপন চত্রবর্তী এবং চট্টগ্রাম-৪ ও চট্টগ্রাম- ১৬ আসনের আ আ ম হায়দার আলী চৌধুরী।