র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসানের বক্তব্য ধরে সোমবার সাংবাদিকদের কাছে দেয়া বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন।
জিয়াউল আহসান সংবাদপত্রকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, নূর হোসেন পালিয়ে কলকাতায় অবস্থান করছেন বলে তারা তথ্য পেয়েছেন।
এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে র্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনকারী শহীদুল বলেন, “সাত খুনের ঘটনার সঙ্গে র্যাবের কর্মকর্তারা যে জড়িত সেটি পরিষ্কার হয়ে উঠছে।
“এখন র্যাবকে বাঁচাতে জিয়াউল আহসান নিজেই নূর হোসেনকে কলকাতায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারা সবাই মিলে র্যাবকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে শহীদুলের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কর্নেল জিয়া তদন্তাধীন এই মামলা নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
র্যাবের মুখপাত্র হাবিবর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে শহীদ চেয়ারম্যান এই ধরনের কথা বলছেন।”
সামরিক বাহিনীর এই তিন কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে অবসরে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে বলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন।
শহীদুল বলেন, “সবার দাবির পরও অভিযুক্ত র্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। এমনকি আদালতের নির্দেশের পরেও তারা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। তার মানে কী? র্যাব চেষ্টা করছে র্যাবকে বাঁচাতে।”
অপহৃত সাতজনের লাশ উদ্ধারের দুদিন পর নজরুলের শ্বশুর দাবি করেন, নূর হোসেন র্যাবকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
এই অভিযোগ তোলার পর র্যাব বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে হাজির হয়ে বাহিনীর মহাপরিচালক বলেছেন, তারা কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না।
অপহরণের মামলার এক সপ্তাহ পর প্রধান আসামি নূর হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে তার আগেই পালিয়ে যান তিনি।
নারায়ণগঞ্জের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিন দিন আগে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।