গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) র্যাব-১৪ এর একটি দল একটি চাঁদাবাজির মামলার আসামি হিসেবে শাহীনূর আলম (৪২) ও মহিউদ্দিনকে (৪১) গ্রেপ্তার করে।
মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শাহীনূর আলম (৪২) মারা যান। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বগডর গ্রামের রহিছের ছেলে।
বুধবার দুপুরে স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন জানান, ১ মে আদালতের মাধ্যমে শাহীনূরকে জেল হাজতে গ্রহণ করার সময় তার শরীরে বেশ কিছু ‘আউট ইনজুরি’ ছিল।
সেখানেই মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান, বলেন জেল সুপার।
নবীনগর থানার ওসি রূপক কুমার সাহা বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
শাহীনূরের চাচাতো ভাই এম এ খায়ের বারী দাবি করেন, বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাবার পর র্যাবের অত্যাচার, নির্যাতন ও মারধরের কারণেই তার ভাইয়ের এমন অকালে মৃত্যু হয়েছে।
তবে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক (কমান্ডার) মেজর সাকিব ছিদ্দিক জানান, আটকের সাতদিন পর এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও অসত্য।
“মারধরই যদি করতাম, তাহলে তো দুজনেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। শুধু একজন কেন অসুস্থ হয়ে মারা যাবেন?”
র্যাবের ‘ভাবমূর্তি’ ক্ষুণ্ন করতেই এ অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।