র‌্যাব কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুমকি নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের

চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ‘দৃশ্যমান’ অগ্রগতি না দেখলে আগামী রোববার র‌্যাব-১১ এর কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2014, 09:51 AM
Updated : 6 May 2014, 02:34 PM

অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের সপ্তাহ পার হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই হুমকি দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন।

এই অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে র‌্যাব-১১ এর কয়েকজন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ইতোমধ্যে অভিযোগ তুলেছেন।

নজরুলের সঙ্গে অপহৃত হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের প্রবীণ আইনজীবী চন্দন সরকার। ধারণা করা হয়, গত ২৭ এপ্রিল অপহরণের ঘটনা দেখে ফেলায় তাকেও তুলে নেয়া হয়েছিল।

চন্দন ও তার গাড়িচালকের লাশ তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যায়। সেদিন নজরুল ও তার চার সহযোগীর হাত-পা বাঁধা লাশও নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।

চন্দনসহ সাতজনের লাশ উদ্ধারের পর থেকে আদালত বর্জন করে প্রতিদিনই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল জেলা আইনজীবী সমিতি।

সাত দিন পর আদালতের কার্যক্রমে ফিরে মঙ্গলবার নগরীর চাঁদমারী এলাকায় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিলের পর সমাবেশে আইনজীবী নেতা সাখাওয়াত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

“শনিবারে মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ড তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে রোববার র‌্যাব-১১’র অফিস ঘেরাও করা হবে।”

আইনজীবী নেতা সাখাওয়াত বলেন, “তদন্তে কোনো অগ্রগতি না থাকায় আমরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। আমরা আশা হারাতে চাই না। আমাদের প্রত্যাশা, জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তা না হলে আরো কঠিন কর্মসূচি দেব।”

আইনজীবী সমিতি বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে গণঅনশন কর্মসূচি দিয়েছে। তাতে সবাইকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।

চাঞ্চল্যকর এই অপহরণের পর র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদকে নারায়ণগঞ্জ থেকে সরিয়ে আনার পর তার বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

লাশ উদ্ধারের পর নজরুলের শ্বশুর র‌্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে তা তদন্তে এই বাহিনী নিজেরা একটি কমিটি করেছে।

র‌্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগসহ পুরো ঘটনা তদন্তে জনপ্রশাসনের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ সোমবার দিয়েছে হাই কোর্ট। একইসঙ্গে এই মামলার তদন্তে র‌্যাবকে না রাখতেও বলেছে আদালত।

অপহরণ ও হত্যামামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূর হোসেন এখনো পলাতক।

শহীদুলের অভিযোগ, নূর হোসেন ৬ কোটি টাকা দিয়ে র‌্যাবের মাধ্যমে তার জামাতা নজরুলকে হত্যা করিয়েছে।