মেয়র আইভীর ক্ষোভ

ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ছয়জনের লাশ নদী থেকে তুলে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেও সুরতহাল করতে সরকারি কর্মকর্তা না আসায় ক্ষোভ জানান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।

আশিক হোসেন নারায়ণগঞ্জ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2014, 05:37 PM
Updated : 30 April 2014, 06:08 PM

বুধবার দুপুরের পর শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ গিয়ে উদ্ধারের পর লাশগুলো রোববার অপহৃতদের বলে স্বজনরা সনাক্ত করেন।

লাশগুলো সরাসরি নেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে, সেখানে মেয়র আইভীও ছিলেন।

রাত সাড়ে ৯টায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করছি, কিন্তু সুরতহালের জন্য এখনো কোনো ম্যাজিস্ট্রেট এল না।”

কাউন্সিলর নজরুলের বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের সামলাতে সামলাতে তিনি একথা বলেন।

“জেলা প্রশাসক কি করছেন? লোকজন এখানে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছে বারবার। আমি তাদের সামলাতে পারছি না।”

ওই সময় তাকে কয়েকবার ফোনে কথা বলতে দেখা যায়। ফোনে তিনি বলছিলেন, “আপনার আসছেন না কেন। আমি লোক সামলাতে পারছি না।”

রাত ১০টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহীন মর্গের সামনে এলে নজরুল সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে তাকে গালাগাল করতে থাকে। তখন পুলিশের পাহারায় তিনি মর্গে ঢোকেন।

প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আইভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ এখন আতঙ্কিত।

এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী বলে মনে করেন- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরিবার তো অলরেডি মামলা করেছে।”

আওয়ামী লীগ নেতা নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি স্বামী অপহরণের পরপরই এজন্য সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূর হোসেন এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইয়াসিনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন।

নজরুল ছাড়া আর যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়, তারা হলেন-প্রবীণ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার, তার গাড়িচালক ইব্রাহিম, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সহসভাপতি তাজুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগকর্মী মনিরুজ্জামান স্বপন ও লিটন।

রাতে সিটি কর্পোরেশন মাঠে তাদের জানাজার প্রস্তুতি চলছিল।