মঙ্গলবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো হেফাজতে ইসলামের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার প্রচার সম্পাদক আ ন ম আহমদউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন।
আহমদউল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশের পর যুগ্ম মহাসচিব এ বিবৃতি দিলেন।
বিবৃতিতে রূহী বলেন, “শাহবাগের পরাজিত শক্তি আহমদ শফীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা এবং পত্রিকায় তথ্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে তার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করার অপকৌশল গ্রহণ করেছে।”
গত ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক পূর্বকোণে ‘আল্লামা শফীপুত্র আনাসের সম্পদ হঠাৎ বেড়ে গেছে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হাটহাজারী উপজেলা সদরে ২০ কাঠা জমির ওপর পাঁচটি বহুতল ভবন এবং রাঙ্গুনিয়ার লিচু বাগানে শফীর ছেলে আনাস মাদানির নামে ‘মাদানি মঞ্জিল’ নামে আরেকটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে।
এরআগে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন রেলওয়ের জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বিবৃতিতে রূহী বলেন, “মাওলানা আনাস সাহেবের সম্পদের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যা ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
“মাওলানা আনাস সাহেবের নিজস্ব কোনো বিল্ডিং এ পর্যন্ত হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়ায় কেউ দেখাতে পারবে না এবং তার নামে কোনো সম্পদ এ দুটি স্থানে আদৌ নেই।”
এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ গণমাধ্যমের ‘অমূলক বাড়াবাড়ি’ দাবি করে হেফাজতের এই নেতা বলেন, “আল্লামা আহমদ শফী সাধারণ একজন মানুষ নন।
“তাকে বাহ্যিক দৃষ্টিতে আর্ত-সহজ-সরল দেখালেও তার সম্পর্ক মদিনায়ে তাইয়্যবার সাথে। তার আল্লাহ প্রেমে মগ্ন থাকা এবং নির্লোভতা সারা দেশের মানুষের কাছে স্বীকৃত।”
শফীর মত ‘খোদা ভীরু আলেম ও শায়খুল হাদিস নবীর আশেক’ উপমহাদেশে নয়, পুরো মুসলিম বিশ্বে বিরল বলেও দাবি করেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব রুহী।
তিনি বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক নেতাদের লুটপাট, দুর্নীতি ও সরকারি জমি দখল করার মত হেফাজতের আমিরকেও একই পাল্লায় মাপলে মিডিয়া ও সমাজ চরম ভুল করবে।”
গণমাধ্যম কর্মীদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রূহী বলেন, “সরকারি বা রেলের ৩৩ বা ৩৫ কোটি টাকার জমি নয় আহমদ শফীর নিজের নামে এক শতক জমিও দখলে আছে- তা কেউ প্রমাণ করতে পারলে তাকে ৫০ কোটি টাকা উপহার দেয়া হবে।
“আর যদি তা না হয় তাহলে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করব বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য।”