বিরতিতে যাচ্ছে ‘রূপসী বাংলা’

নতুন আঙ্গিকে শুরু করতে দেড় বছরের জন্য বন্ধ হচ্ছে হোটেল রূপসী বাংলা। সেই সঙ্গে তিন দশক পর এর ব্যবস্থাপনায় ফিরছে ইন্টার কন্টিনেন্টাল।  

রিয়াজুল বাশার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2014, 04:12 AM
Updated : 29 April 2014, 12:19 PM

রূপসী বাংলার মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব খুরশিদ আলম চৌধুরী সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন। 

মূলত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সেপ্টেম্বর থেকে এটি ‘সংস্কার বিরতিতে’ যাচ্ছে।

খুরশিদ আলম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংস্কার কাজ আগেই হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। আমরা পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে ফিজিক্যাল ওয়ার্ক শুরু করবো।”

পাঁচ দশকের পুরনো এ হোটেলটির ব্যবস্থাপনায় আবারো ফেরার জন্য ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সার্ভিসেসের সঙ্গে চুক্তি করে ইন্টার কন্টিনেন্টাল হোটেল গ্রুপ, যে গ্রুপটি ১৯৬৬ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত এ হোটেলের ব্যবস্থাপনায় ছিল।

ইন্টার কন্টিনেন্টালের পর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব আসে আন্তর্জাতিক হোটেল সেবাদানকারী আরেক প্রতিষ্ঠান শেরাটন। প্রায় ২৮ বছর পর ২০১১ সালে এপ্রিলে শেরাটন চলে গেলে বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড হোটেলটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেয়।

ওই সময় থেকে রূপসী বাংলা নাম নিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের নানা গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এই হোটেল।

রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ হোটেলটি ১৯৮১ সালে সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন সময়ে কিছু কিছু সংস্কার হলেও আন্তর্জাতিক ফাইভ স্টার মানে তোলার জন্য বেশকিছুদিন ধরেই বৈশ্বিক হোটেল পরিচালন কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে তাগাদা এসেছে।  

পুনরায় ৩০ বছরের জন্য ইন্টার কন্টিনেন্টালের সঙ্গে চুক্তিতে রূপসী বাংলার সংস্কার করে দেয়ার শর্ত যুক্ত রয়েছে, যার ব্যয় বহন করতে হবে বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডকে।

খুরশিদ আলম জানান, সংস্কার কাজে ১৬ মাস তার চেয়ে ‘একটু বেশি’ সময়ও লাগতে পারে, যাতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকা।

“বন্ধ রাখা ছাড়া সংস্কার করা যাবে না। চুক্তিতেও তাই আছে।”

সংস্কার কাজের সময় হোটেলে কর্মরত পাঁচ শতাধিক কর্মচারীর যাতে কোনও অসুবিধা না সে বিষয়ে সরকারের লক্ষ্য রয়েছে বলেও জানান পর্যটন সচিব।

অতিথিদের জন্য রূপসী বাংলায় বর্তমানে ২৭২টি বিভিন্ন ধরনের কক্ষ রয়েছে, যার প্রতিটির গড় আয়তন ২৪ থেকে ২৬ বর্গমিটার। ফাইভ স্টার হোটেলের আন্তর্জাতিক মান রক্ষার জন্য সংস্কারের মাধ্যমে কক্ষগুলো বড় করা হবে, এতে কক্ষসংখ্যা কমে ২৩০ টি হবে।

এছাড়া আসবাব, সুইমিং পুল, জিমনেসিয়ামের আধুনিকায়নসহ অন্যান্য সেবাও সংযুক্ত করা হবে।

খুরশিদ আলম বলেন, “এটা হবে ওদের (ইন্টার কন্টিনেন্টাল) একটা ফ্ল্যাগশিপ হোটেল। এখানে ওদের একটা বড় ধরনের উত্তরাধিকার আছে।”