বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের গ্রাম বিদ্যুৎহীন

স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের গ্রামে বিদ্যুৎ যায়নি। তার নামে প্রতিষ্ঠিত গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিমফিজুর রহমান শিপন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2014, 04:53 PM
Updated : 19 April 2014, 04:53 PM

মুন্সী আব্দুর রউফের শাহাদাৎ বার্ষিকী রোববার। ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল রাঙ্গামাটির মহালছড়ি এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে সন্মুখ সমরে শহীদ হন ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ।

এই বীরশ্রেষ্ঠের নামে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নিজ গ্রাম রউফনগরে ছয় বছর আগে নির্মিত হয় গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাযুঘর। সেখানে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি মধুমতি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।  

এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী শাসনের ব্যবস্থা নেয়নি। কামারখালী- রউফনগর সড়কটি সংস্কার না করায় সেখানে দর্শনার্থী যেতে পারছে না। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনায় এখনো বিদ্যুৎ যায়নি।

বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফের বাল্যবন্ধু মুজিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যাদুঘরে যাওয়ার রাস্তা কয়েক মাস আগেই নদীতে চলে গেছে। নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে না পারলে যাদুঘরও থাকবে না।

স্মৃতি যাদুঘরের গ্রন্থাগারিক সাইদুর রহমান জানান, যাদুঘর সচল রাখতে এখনই দরকার রান্তাটি সংস্কার ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা।

মধুখালীর কামারখালী ইউপির চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, এলাকাবাসীর আশা ছিল এ গ্রামে বিদ্যুৎ যাবে, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকবে, কিন্তু কয়েক মাস হলো যাদুঘরে যাওয়া রাস্তাটি ভে েগেছে।

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। ভাঙ্গন রোধে পানি সম্পদ মন্ত্রীর আশ্বাসের পরও কাজ শুরু হয়নি।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন বলেন, “আমাদের এই মুহূর্তে জরুরি হচ্ছে নদী ভাঙ্গন রোধ করা।

“এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, আশা করছি সবকিছু দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।”

বীরশ্রেষ্ঠের মা বৃদ্ধা মকিদুন নেছার আশা, প্রধানমন্ত্রী রউফরগর গ্রামের সমস্যা সমাধান করবেন।