বাঁশখালী ১১ হত্যা মামলায় ২ জনের সাক্ষ্য

চট্টগ্রামের আলোচিত বাঁশখালী ১১ হত্যা মামলায় আদালতে দুই ‍সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2014, 03:52 PM
Updated : 25 March 2014, 03:52 PM

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হ্লা মং এর আদালতে সাক্ষ্য দেন বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ চৌধুরী ও নিহতের পরিবারের সদস্য শচীন্দ্র লাল শীল।

আগামী ৭ এপ্রিল এই মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছে আদালত।

চট্টগ্রাম জেলা পিপি আবুর হাশেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "সাক্ষী আহসান উল্লাহ চৌধুরী আদালতে বলেছেন, ঘটনার পর কয়েকজন আসামি তাকে জানিয়েছেন আমিন চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

“এমনকি ঘরে আগুন দিতে গান পাউডার কেনার টাকাও আমিন চেয়ারম্যান দিয়েছিলেন বলেও ইউনুস ও আহমদ মিয়া নামের দুই আসামি আহসান উল্লাহকে জানান।”

আরেক সাক্ষী শচীন্দ্র লাল শীল আদালতে বলেন, ঘটনার পর ১০টি লাশ সনাক্ত করি। আরেকটি লাশ মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়।

শচীন্দ্র লাল শীল নিহত তেজেন্দ্র শীলের ভাই। 

২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর গ্রামের শীলপাড়ায় তেজেন্দ্র শীলের বাড়িতে একই পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

ঘটনার পর তেজেন্দ্র শীলের ছেলে বিমল শীল বাদি হয়ে মামলা করেন।

সাত তদন্ত কর্মকর্তার হাত ঘুরে অষ্টম তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার হ্লা চিং প্রু ২০০১ সালের ৯ জানুয়ারি ৩৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

এরপর ওই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগ, খুন ও লুটতরাজের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আগের অভিযোগ বাদ দিয়ে আসামি আমিনুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখল করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ গঠনের আবেদন জানায়।

এরপর ওই বছরের ১৯ এপ্রিল এ হত্যা মামলায় ৩৮ আসামির বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

তবে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় এ মামলার আসামি বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান চৌধুরী ওরফে আমিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়নি।