বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সচিবালয়েই তিন সচিব ও পাঁচ রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে গঠিত তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়ন-বিষয়ক ‘থ্রি প্লাস ফাইভ’ কমিটির সভা হয়।
মজীনা বলেন, “আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি ফিরে পেতে আরো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ইপিজেডগুলোতে শ্রম আইন বাস্তবায়ন করা।”
বৈঠকে বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, শ্রম সচিব মিকাইল শিপারের সঙ্গে মজীনা ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত উইলিয়াম হানা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত জার্বেন ডি জন, কানাডার রাষ্ট্রদূত হিদার ক্রুডেন ও স্পেনের রাষ্ট্রদূত স্লুইস তেজাডা উপস্থিত ছিলেন।
এই বৈঠকের আগে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কূটনীতিকরা।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনে ১১২ জনের মৃত্যু এবং গত বছরের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১১৩২ জনের প্রাণহানির ঘটনায় বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এরপর গত বছর জুনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার (জিএসপি) স্থগিত করে দেশটি। এই সুবিধা ফিরে পেতে বাংলাদেশের জন্য বেশ কিছু শর্তসহ একটি কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করে ওবামা সরকার।
ওই কর্মপরিকল্পনার অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়ে গেছে এবং বাকিগুলো ‘নির্ধারিত’ সময়ের আগেই পূরণ হবে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ জানিয়েছেন।
জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে যে কর্মপরিকল্পনা দেয়া হয়েছিল, সে অনুযায়ী যথেষ্ট অগ্রগতি বাংলাদেশ দেখাতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা (জিএসপি) পুনর্বহাল হবে কি না- সে বিষয়ে শুনানি হবে আগামী মে মাসে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধায় বাংলাদেশ যে পণ্য বিক্রি করত, তা দেশের ৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানির ১ শতাংশের মতো। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশকে বড় ধরনের অসুবিধায় পড়তে না হলেও এর প্রভাব ইউরোপের ক্ষেত্রে পড়লে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা।