অর্ণব হত্যা: খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি

সাতক্ষীরার শিশু অর্ণব হত্যা মামলার ৫ আসামিকে বেকসুর খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল করার অনুমতি দিয়েছে আপিল বিভাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2014, 09:13 AM
Updated : 24 Feb 2014, 12:05 PM

বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ সোমবার রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে পাঁচ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।

পাশাপাশি তাদেরকে বিচারিক আদালতে জামিন দিতে বলেছে আপিল বিভাগ।

আদালতে আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ভীষ্মদেব চক্রবর্তী।

আসামিদের মধ্যে গোলাম ফারুক ও খলিল সরদারকে বিচারিক আদালত ২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। অন্য তিন আসামি সাত্তার সরদার, মতিয়ার রহমান, সুশীল কুমার রায়কে বিচারিক আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। বিচারিক আদালতের রায়ের সময় আসামিরা কারাগারে ছিলেন।

পরে হাই কোর্ট এই পাঁচ আসামিকে খালাস দিলেও বিচারিক আদালতের রায়ের সময় পলাতক মুকুল গাজীর যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখে।

২০১০ সালের ২৪ অগাস্ট হাই কোর্টের ওই রায়ের এক সপ্তাহের মাথায় আপিল বিভাগ হাই কোর্টের রায় স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল আবেদন করার আদেশ দেয়।

এরপর অর্ণবের পরিবার ও রাষ্ট্রপক্ষ ৫ আসামির বিরুদ্ধে আলাদাভাবে তিনটি করে আপিল আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি করে সোমবার সর্বোচ্চ আদালত আপিলের অনুমতি দিল।

আদেশের পর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, “এখন আপিলের কাগজপত্র প্রস্তুত হবে। এরপর আপিল শুনানি করে চূড়ান্ত রায় দেয়া হবে।”

হাই কোর্টের খালাসের আদেশ আপিল বিভাগে স্থগিত হওয়ার পর বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামিকে মুক্তি দেয়ায় সাতক্ষীরার তত্কালীন দায়রা জজ মো. আবুল হোসেন খান ও সাতক্ষীরার জেল সুপার নুরুন্নবী ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়।

মামলার অভিযোগ, ২০০০ সালের ১৭ জুন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার সাইহাটি গ্রামের বিমল কৃষ্ণ দাসের আট বছরের ছেলে অর্ণব দাসকে টিয়ে পাখি দেয়ার কথা বলে ডেকে নেন পাশের খলিসানি গ্রামের মুকুল গাজী। এরপর ২০ জুন দুই চোখ উপড়ানো, ডান হাতবিহীন, দুই পায়ের রগকাটা অবস্থায় অর্ণবের লাশ উদ্ধার করা হয়।