আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক নেই: হেফাজত

বাংলাদেশ নিয়ে আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল- জাওয়াহিরির দেয়া অডিও বার্তার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2014, 03:29 PM
Updated : 15 Feb 2014, 05:58 PM

শনিবার রাতে হেফাজতের ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আল-কায়েদা বা জাওয়াহিরির নাম বলে যে অডিও বার্তা প্রচার করা হচ্ছে তা ষড়যন্ত্র বলে আমাদের মনে হচ্ছে। এর সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।”

এদিকে হেফাজতে আমির শাহ আহমদ শফী ও মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর নামে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাওয়াহিরি বা আল-কায়েদাকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সৃষ্টি উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, “কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে এই অডিও বার্তা প্রচার করেছে তা আমাদের জানা নেই। আমাদের সন্দেহ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বসহ দেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র হতে পারে।”

শনিবার আল-কায়েদা নেতা জাওয়াহিরির নাম ও ছবিসহ এক অডিও বার্তায় বাংলাদেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান জানানো হয়।

গত বছরের হেফাজতকাণ্ডের সূত্র ধরে এই বার্তায় রাজপথে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। আর বাংলাদেশ সরকারকে অভিহিত করা হয়েছে ‘ইসলামবিরোধী, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার’ হিসাবে।

হেফাজতের বিবৃতিতে বলা হয়,  ঈমান-আক্বিদার সুরক্ষা, ইসলাম অবমাননা রোধ ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অরাজনৈতিক অবস্থানে থেকেই জনতাকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও ১৩ দফার আন্দোলন করে যাচ্ছে তারা।

“শাপলা চত্বরের ট্রাজেডিসহ নানা জুলুম-অত্যাচার, হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানি- উস্কানি সত্ত্বেও হেফাজতে ইসলাম কোনো বিশৃঙ্খলা বা ভাংচুরের সাথে না জড়িয়ে চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। অথচ হেফাজতে ইসলামকে অরাজনৈতিক শান্তিপূর্ণ অবস্থান থেকে লক্ষ্যচুত করার জন্য নানা অপবাদ ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে উস্কানিমূলক ষড়যন্ত্র একের পর এক চলছেই।”

বিবৃতিতে বলা হয়,  “দেশ ও জাতির অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করার কারণেই জুলুম-অত্যাচার, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, পাপাচার ও ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছে দেশের আলেম সমাজ ও কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা।

“কারণেই বিভিন্ন সময় সন্ত্রাস ও কথিত জঙ্গিবাদের সাথে কওমী মাদ্রাসা ও আলেমদের জড়িয়ে মিথ্যাচার করে এদেশ থেকে ইসলামী শিক্ষা ও মুসলিম চেতনাবোধ ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে।”

জাওয়াহিরির নামে প্রচারিত অডিও বার্তার সাথে ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ও আলেম সমাজের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ দুই নেতা।

‘মাদ্রাসা শিক্ষা ও আলেমদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ইহুদি লবির পাশাপাশি প্রতিবেশি বৃহৎ একটি দেশের গোয়ন্দা সংস্থাসহ অনেকেই’ জড়িত বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের যোগসাজশে নাস্তিক্যবাদীরা আলেম সমাজ ও কওমী মাদ্রাসাকে সন্ত্রাস ও কথিত জঙ্গিবাদে জড়ানো মিথ্যাচার চালিয়ে এদেশে আফগানিস্তান ও ইরাকের মত পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে।