নছিমন করিমন ভটভটি প্রত্যাহারের নির্দেশ

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ১০ জেলার মহাসড়ক থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার বাহন নছিমন, করিমন, ভটভটি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2014, 09:03 AM
Updated : 10 Feb 2014, 09:40 AM

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. হাবিবুল গণির  বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।

পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (মহাসড়ক) এবং বাগেরহাট, নড়াইল, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, খুলনা ও যশোর জেলার পুলিশ সুপারকে এক সপ্তাহের মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। আর এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।

সড়ক-মহাসড়কে মোটর যান চালানোয় অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে মোটরযান অধ্যাদেশ অনুসরণ করতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছে হাই কোর্ট।

ওই দশ জেলায় নসিমন, করিমন, ভটভটি নামের ‘অবৈধ ও অকার্যকর যানবাহন’ চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, উপমহাপরিদর্শক (হাইওয়ে), ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক), বিআরটিএর চেয়ারম্যান এবং দশ জেলার পুলিশ সুপারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ গত ৯ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনটি করেন।  এতে বাদী হিসাবে রয়েছেন আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী।

বাদীপক্ষে মনজিল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান আদালতে শুনানি করেন।

মনজিল মোরসেদ শুনানিতে বলেন, এসব বাহন ‘অবৈধভাবে’ মহাসড়কে চলাচল করায় প্রতিদিন বহু যাত্রীর প্রাণহানী ঘটে এবং শত শত কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়।

‘মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ অবৈধ যানবাহন নছিমন করিমন ভটভটি’ শিরোনামে গত ১৫ নভেম্বর দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনও এই রিট আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।

পরে এক এক প্রশ্নের জবাবে মনজিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে ওই ১০ জেলায়ই এ ধরনের যানবাহন চলাচল করে।

এর আগে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বিভিন্ন সময়ে মহাসড়কে এসব বাহন না চালাতে হুঁশিয়ার করেছেন। মহাসড়কে নসিমন-করিমন চলাচল বন্ধের দাবিতে ধর্মঘটও করেছে বাস মালিক-শ্রমিকরা। তবে প্রায় প্রতিদিনই অন্য যানের সঙ্গে সংঘর্ষে বা নসিমন-করিমন উল্টে গিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে।