আগামী এক মাসের মধ্যেই আলুর দাম বেড়ে যাবে মন্তব্য করে দেশীয় পদ্ধতিতে মাচা তৈরি করে আলু সংরক্ষণ করতে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সংসদে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এমওপি সার ব্যবহারের কারণে একটি গাছে দ্বিগুণ হারে আলুর ফলন হচ্ছে। এতে আলু নিয়ে কৃষকরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন।
“তবে আলু নিয়ে কৃষকদের এই সমস্যা সাময়িক। আগামী এক মাস পরেই এই পরিস্থিতি আর থাকবে না।”
কৃষকদের আলু সংরক্ষণে মনোযোগী হতে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান আবহাওয়ায় দেশীয় পদ্ধতিতে মাচা তৈরি করে তিন মাস পর্যন্ত আলু সংরক্ষণ করা সম্ভব।
প্রতি বছরই আলুর ফলন নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে স্বীকার করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সমস্যা মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই আলু রপ্তানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের প্রণোদনায় বেসরকারি উদ্যোগে সাতশ’ কন্টেইনার আলু রাশিয়াতে যাচ্ছে।
দেশেই বিশেষ জাতের আলু চাষ হওয়ায় চিপস আমদানি কমে গেছে বলে জানান মতিয়া চৌধুরী।
দাম কমে যাওয়ায় প্রতিবাদ হিসেবে বুধবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জে রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ করেন চাষীরা।
এদিকে জয়পুরহাটের একাধিক কৃষক বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ১ থেকে দেড় টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। অন্যান্য বছর আলু বেচে ইরি-বোরোর চাষ করতে পারলেও এবার শুধু সারের টাকাই উঠছে না।
ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য ইয়াছিন আলীর আরেক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সব কিছুতে ভর্তুকি দিলে অর্থনীতি সামনের দিকে এগোতে পারবে না।
“সরকার সার, বীজ ও বিদ্যুতে ভর্তুকি দিচ্ছে। এরপর আর কতো ভর্তুকি দেবে?”