পঞ্চগড় সদরের অমরখানা ইউনিয়নে এ মন্দির দুটি পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান লীনা।
শাহনাজের নেতৃত্বে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ভিতরগড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ শুরু হয়।
খনন কাজে উঠে আসা স্থাপনার নির্মাণ কৌশল দেখে নগরীটি সপ্তম শতকে নির্মিত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলেন তিনি।
তবে সর্বশেষ আবিষ্কৃত স্থাপনার সন্ধান পাওয়ার পর এর নির্মাণ শৈলি, আকৃতি ও ইটের গঠন দেখে এসব স্থাপনা ৮ম শতকে নির্মিত বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি জানান, এ দুটি ধর্মীয় কোনো উপাসনালয় অর্থাৎ মঠ কিংবা মন্দির হতে পারে।
শাহনাজ বলেন, খালপাড় এলাকায় একটি মন্দিরের অবয়ব বের হয়েছে যার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ ৯ মিটার। এ মন্দিরটির অনেকখানি অংশ ধংস হয়ে গেছে।
দ্বিতীয় মন্দিরটি হচ্ছে ঢিবরীডাঙ্গা এলাকায়। এটি প্রায় ২৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ২০ মিটার প্রস্থের।
নতুন আবিষ্কৃত এই দুটি স্থাপনা আগে আবিস্কৃত স্থাপনা থেকে কিছুটা ভিন্ন। এই দুটিতে ইটের কাজের সঙ্গে পাথর ব্যবহার করা হয়েছে।
ড. শাহনাজ লীনার মতে, প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপে ২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে দুর্গনগরীর বিস্তৃতি পাওয়া গেছে। এটি চারটি বেস্টনী প্রাচীর দিয়ে ঘেরা।
ভেতরের দুটি প্রাচীর সুদৃশ্য ইটের ও অন্য দুটি মাটির তৈরি। প্রাচীরগুলো ১৫ থেকে ১৮ ফুট উঁচু এবং ৭ থেকে ১২ ফুট প্রশস্ত।
প্রথমটি বাদে বাকি তিনটি প্রাচীরের বহির্ভাগ পরিখা (খাল বা নালা) দ্বারা বেষ্টিত। পরিখাগুলো ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত গভীর।
সবকিছু মিলে এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও স্বাধীন নগরী ছিল বলে দাবি করেছেন এই শিক্ষক।
খনন কাজে অংশ নেয়া স্থানীয় প্রবীণ কাদেরুল ইসলাম বলেন, ছোটবেলা থেকে বাপ-দাদার কাছে শুনেছি, এখানে রাজা-মহারাজারা বাস করতেন। এখন প্রমাণ পাচ্ছি।