রোববার বেলা ১২টা ৫৫ থেকে ২১ মিনিটব্যাপী এই মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা মো. জোবায়রুল হাসান। লাখো মুসল্লির কণ্ঠে এ সময় ধ্বনিত হয়- ‘আমিন আমিন’।
টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের চারপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় সড়ক, সড়কের পাশে বাসা-বাড়ি-কলকারখানা-অফিস-দোকানের ছাদ, পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা যানবাহন ও তুরাগ নদীতে নৌকার ওপর অবস্থান নিয়ে মুসল্লিরা এই মোনাজাতে শামিল হন।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার ভোর থেকেই টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ অভিমুখে শুরু হয় মানুষের ঢল। প্রতিবারের মতো এবারো টঙ্গীর পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয় শনিবার মধ্যরাত থেকেই। ফলে মুসল্লিদের পায়ে হেঁটে ইজতেমাস্থলে আসতে হয়।
সকাল ৯টার আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠের আশেপাশের রাস্তা ও অলি-গলিতে পুরানা খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে অবস্থান নেন বহু মানুষ।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে রোববার এ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
চার দিন বিরতি দিয়ে আগামী ৩১ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফার ইজতেমা শুরু হবে। ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তাবলিগ জামায়াতের এই বিশ্ব সম্মিলন।