নির্বাচনী সহিংসতায় দিনাজপুরে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
Published : 06 Jan 2014, 05:20 PM
রোববার নির্বাচনের দিন থেকে এ নিয়ে এক আনসার সদস্যসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হলো।
এরা হলেন আনসার সদস্য ওয়াহেদ আলী, বিএনপিকর্মী চুন্নু (৩০), যুব জাগপা নেতা রাইহান মাসুদ (২২) এবং দুই শিবিরকর্মী মো. সালাউদ্দিন (১৭) ও আসাদুল্লাহ (১৮)।
তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি রোববার নিশ্চিত হওয়া গেলেও শিবিরকর্মী মো. সালাউদ্দিন ও আসাদুল্লাহর মৃত্যুর খবর পুলিশ নিশ্চিত করে সোমবার।
বীরগঞ্জ থানার ওসি আরমান হোসেন জানান, ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকালে দুই শিবিরকর্মীর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন ও আসাদুল্লাহর পরিচয় নিশ্চিত করেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা প্রচার সম্পাদক সোহেল রানা।
তিনি বলেন, যৌথ বাহিনীর হামলায় তারা আহত হয়েছিলেন।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোববার সন্ধ্যায় সালাউদ্দিন এবং সোমবার সকালে আসাদুল্লাহর মৃত্যু হয়।
মো. সালাউদ্দিন বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভগির পাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এবং আসাদুল্লাহ শিবরামপুর ইউনিয়নের সাহাডুবি গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে।
পলাশবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের হামলার সময় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এরা আহত হয়েছিলেন।
অপর তিনজন নিহত হয়েছিলেন পার্বতীপুর উপজেলায়। এরমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ও সংঘর্ষে নিহত হন বিএনপিকর্মী যুব জাগপা নেতা এবং দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন আনসার সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় স্কুলমাস্টার মোবারক হোসেন ও স্থানীয় সাংবাদিক একরামুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পার্বতীপুরের মন্মথপুর কো-অপারেটিভ হাই স্কুল কেন্দ্রে রোববার বেলা ১১টার দিকে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ জড়ায়।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাইহান মাসুদ নিহত হন। তিনি উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে।
একই সময়ে খোরাখাই বৈষ্ণবপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে চুন্নু নিহত হন। চুন্নুর বাড়িও ডাঙ্গাপাড়ায়।
এছাড়া উত্তর শালন্দার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুর্বৃত্তদের হামলায় ওয়াহেদ আলী নিহত হন।