এক পর্যায়ে বিরক্ত অর্থমন্ত্রী ‘স্টুপিড’ বলে ধমকে কক্ষ থেকে বের করে দেন তাকে। সেই সময়ই কক্ষের বাইরে অপেক্ষারত সংবাদকর্মীদের নজরে আসে বিষয়টি।
অর্থমন্ত্রী কানাডার হাই কমিশনার হিদার ক্রুডেনের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন।
সংবাদকর্মীরা নামপরিচয় জানতে চাইলে শ্মশ্রুমণ্ডিত ওই ব্যক্তি নিজের নাম ‘শাকিল’ বলে দাবি করেন।
তিনি বলতে থাকেন, “আমি দেশের মালিক। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। অর্থমন্ত্রী বাইরে এসে যদি বলে আমি দেশের মালিক না, তাহলে আমি চলে যাবো।”
সচিবালয়ে প্রবেশের পাস কোথায় পেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার পাস লাগে না।”
বিষয়টি নিয়ে হাস্যরসের মধ্যেই ঘটনাস্থলে হাজির হন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ওই ব্যক্তিকে নেয়া হয় অর্থমন্ত্রীর এপিএসের কক্ষে। সেখান থেকে পরে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
পরে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তার স্বভাবসুলভ বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “ওকে আমি চিনি না। ও একটা ইতর।”
সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মশিউর রহমান টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লোকটা আসলেই পাগল। তাকে আমরা শ্যামলির মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়েছি।”
নিরাপত্তা বেষ্টনি পেরিয়ে একজন ‘মানসিক রোগী’ কীভাবে অর্থমন্ত্রীর কক্ষে ঢুকলেন জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।