বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দণ্ড কার্যকরের পরপরই ১২টার দিকে মোগলাবাজার রেলস্টেশনে আগুন দেয়া হয়।
এরপর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় হামলার ঘটনা ঘটে।
জালালাবাদ থানার ওসি গৌসুল হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ২/৩টি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন যুবক জালালাবাদ থানা প্রাঙ্গণে এসে হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং থানায় ঢিল ছোড়ে।
এরপর পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রাতেই ৪০-৫০ জন জামায়াত-শিবির কর্মীকে আসামি করে জালালাবাদ থানায় মামলা করেন এসআই আব্দুল হামিদ।
এরপর রাত ১২টার দিকে মোগলাবাজার রেলস্টেশনে আগুন দেয়া হয়।
সহকারী স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম জানান, ১২টার দিকে ৫০-৬০ জন মুখোশধারী এসে স্টেশনের সিগন্যাল কক্ষে ঢুকে পড়ে। তারা রেলকর্মীদের মারধর করে বের করে দেয় এবং পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
একই সময় তারা স্টোর রুমেও আগুন দেয়।
আগুনে কম্পিউটার, টিকেট, টিকেট বিক্রির টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিলেট রেল পুলিশের ওসি আলমগীর হোসেন জানান, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে রায়ের পর সিলেটের তেমুখীসহ টুকেরবাজার এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় শিবির কর্মীরা। রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভও দেখায়।
রাত ১টার দিকে জামায়াত-শিবির কর্মীরা টুকেরবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ইউসুফ মিয়ার মালিকানাধীন শাহ খুররম স’ মিলের অফিস ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জালালাবাদ থানার ওসি গৌসুল হোসেন জানান।