নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আজাহারুল ইসলাম আজু (৪৮) কলারোয়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
কলারোয়া আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কলারোয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, “জামায়াত-শিবির এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, “হামলার আগে স্থানীয় পুলিশকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”
কলারোয়া থানার ওসি শাহাদারা খান গোপিনাথপুর গ্রামে রাত ১২টার দিকে মুখোশধারী দুর্বৃত্ত এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় উল্লেখ করে রাত আড়াইটার দিকে বলেন, “রাস্তায় গাছ ফেলে ব্যারিকেড দেয়ায় পুলিশ এখনো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।”
অপর উপজেলা আশাশুনির বুধহাটা বাজারে রাত সাড়ে ১০টায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় এবং মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে জামায়াত-শিবির কর্মীরা আগুন দিয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এ সময় একই স্থানে বুধহাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামানের অফিসেও আগুন দেয় তারা।
আশাশুনি থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন জানান, রাস্তা পরিষ্কার করতে করতে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
রাত দুইটার দিকে তিনি জানান, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
জেলার সদর থানার ওসি এনামুল হক জানান, সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারে কয়েকটি দোকানে অগ্নিসংযোগ করে জামায়াত কর্মীরা।
তবে প্রধান প্রধান সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলায় ও রাস্তা কেটে দেওয়ায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছাতে পারছে না।
এছাড়া জেলার সব উপজেলায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা ঝটিকা মিছিল এবং সদর শহরের উপকণ্ঠে কয়েক দফা বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।