রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “৪২ বছর পর আমরা আমরা একটা বিচার করতে পেরেছি। একাত্তরের গণহত্যায় আমাদের উপর যে কালিমা ছিলো, সেই কালিমা মুক্ত হলো। আমরা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে, বুক ফুলিয়ে বলতে পারবো, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও করেছি।”
এই মামলায় আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষে প্রধান আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এক বাক্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে আমাদের এখানে আইন প্রাধান্য পেল।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মানুষ এই রায় বাস্তবায়নের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলো। কার্যকরের মাধ্যমে সেই প্রত্যাশা পূরণ হলো।
“দ্রুত বিচারের মাধ্যমে অন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও শেষ করা হবে বলে আমরা আশা করছি। এভাবে সকল যুদ্ধারাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশকে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় নিয়ে আসতে হবে।”
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে ছয়জন আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যক্রম শেষ করেন।
নৃশংসতার জন্য একাত্তর সালে আলবদর বাহিনীর সদস্য মোল্লার কুখ্যাতি ছড়িয়ে ছিল মিরপুরের কসাই নামে। বিচার চলাকালে কাঠগড়ায় থেকেও তার দম্ভোক্তি শোনা গিয়েছিল- ‘বাংলাদেশ হয়েছে বলে অনেকের মাতব্বরি বেড়ে গেছে’।
অপরাধযজ্ঞের দীর্ঘ ৪২ বছর পর বিচারের পর সাজা কার্যকরের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার জন্য প্রথম কারো মৃত্যুদণ্ড কারর্যকর হল।