সংবিধানেই এই অধিকার রয়েছে দাবি করে জামায়াত নেতার প্রধান আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, “রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আমরা রিভিউ পিটিশন করব।”
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন সাজা দিলেও আপিলের রায়ে এই জামায়াত নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। গত ১৭ সেপ্টেম্বর দেয়া ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে।
এরপর বিকালে ব্যারিস্টার রাজ্জাক তার বাড়িতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে রায় পর্যালোচনার আবেদন করার কথা জানান।
যুদ্ধারাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা বলে আসছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে রিভিউ আবেদনের বিষয়ে উল্লেখ না থাকায় সুযোগ না থাকায় বিশেষ এই আইনে দণ্ডিতরা এই সুযোগ পাবেন না।
“তার এই সংবিধানিক অধিকার অন্য কোনো আইনের বলে কেড়ে নেয়া যাবে না।”
কাদের মোল্লার রায় বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কারাবিধি অনুসরণ না করার বিকল্প নেই বলেও দাবি করেন রাজ্জাক।
তিনি বলেন, “আইসিটি আইনের কোথাও এই আইনের অধীনে প্রদত্ত মৃত্যুদণ্ডাদেশ কিভাবে কার্যকর করা হবে, তা বলা নেই। তাই জেলকোডের বিধান অনুসরণ করা ছাড়া সরকারের আর কোনো বিকল্প নেই।
“জেলকোড অনুয়ায়ী কারা কর্তৃপক্ষ রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৩০ দিনের আগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে না।”