মুফতি হারুন রিমান্ডে

হেফাজতি মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের কারণ জানতে মুফতি ইজাহারের ছেলে হারুন বিন ইজাহারকে দুই মামলায় পাঁচ দিন করে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2013, 10:49 AM
Updated : 31 Oct 2013, 08:06 AM

বুধবার ভোররাতে হাটহাজারী থেকে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে তাকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডে চায় পুলিশ।

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম সৈয়দ মাসফিকুল ইসলাম পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত সোমবার চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকায় জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার চার তলা ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কমপক্ষে পাঁচ জন আহত হন। তাদের মধ্যে দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালিয়ে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারুল ইসলাম পরিচালিত ওই মাদ্রাসা থেকে চারটি তাজা হ্যান্ডগ্রেনেড, ১৮ বোতল পিকরিক এসিডসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় খুলশী থানায় বিস্ফোরক ও এসিড আইনে দুটি মামলা হয়, যাতে মুফতি ইজাহার ও তার ছেলের হারুনকে আসামি করা হয়।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মোহাং শফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“প্রাথমিক তদন্তে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যবহারের জন্য ওই মাদ্রাসায় গ্রেনেড বানানো হচ্ছিল। আর এর লক্ষ্য ছিল পুলিশ।”

এরপর বুধবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে হাটহাজারীর ইছাপুর গ্রামের জানালী চৌধুরীর বাড়ি থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতি হারুন বিন ইজাহার ও তার সহযোগী মো. জুনায়েদকে (৩০) পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

হেফাজত নেতা মুফতি ইজাহার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও পরিচালক। তিনি মুফতি ইজাহার নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিরও সভাপতি।

তার ছেলে হারুন  ২০১০ সালের নভেম্বরে লালখান বাজার মাদ্রাসার পেছনের পাহাড় থেকে লস্কর ই তৈয়বার সন্দেহভাজন দুই বিদেশি জঙ্গিসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সোমবার মাদ্রাসার যে ঘরে বিস্ফোরণ ঘটে, তার পাশের ঘরেই হারুন থাকতেন।