যুদ্ধাপরাধের দায়ে আবদুল আলিমের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেবে না আইন মন্ত্রণালয়।
Published : 09 Oct 2013, 02:58 PM
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এর আগের রায়গুলোর সময় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী প্রতিক্রিয়া জানালেও এবার তারা কোনো কথা বলেননি।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বুধবার এই রায়ে বলে, হত্যা ও গণহত্যার মতো অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্য হলেও বয়স ও পঙ্গুত্বের কথা বিবেচনায় নিয়ে ৮৩ বছর বয়সী আলীমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হলো।
ওই রায়ের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, “জনগণের প্রত্যাশা ছিল এ নরঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। তবে রায়ের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল।”
কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের পক্ষ থেকেও এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আপিলের দাবি জানানো হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ এই রায় প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
বুধবার দুপুরে রায়ের পরপরই সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা আইন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী শফিক আহমেদের কক্ষের সামনে উপস্থিত হন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “মন্ত্রী কোনো প্রতিক্রিয়া দিবেন না।”
আর আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম একটি অনুষ্ঠানের জন্য বাহ্মণবাড়িয়ায় রয়েছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে যুদ্ধাপরাধের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও বয়স বিবেচনায় জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমকে ৯০ বছর কারাদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুই পক্ষেরই আপিল সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
আর ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরু হয় এবং তাদের দাবি মেনে সরকার যুদ্ধাপরাধের মামলায় সব পক্ষকে আপিলের সমান সুযোগ দিতে বাধ্য হয়।
কাদের মোল্লার মামলার চূড়ান্ত রায়ে ইতোমধ্যে প্রণদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।