কোনো মামলার বিচার শেষে পুরো রায় না পড়ে তীর্যক মন্তব্য না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
Published : 09 Oct 2013, 11:51 AM
বুধবার আব্দুল আলীমের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘোষণা শুরুর পর সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, “এটি এ ট্রাইব্যুনালের পঞ্চম রায়। প্রতিটি রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন মন্তব্য করা হয়। উভয় পক্ষই তা করে।
“তবে রায়ের সংক্ষিপ্তসার দেখেই তা করা হয়। এটা ঠিক না। পূর্ণাঙ্গ রায় না দেখে সুইপিং রিমার্ক করলে আইনের শাসনের ক্ষতি হয়।”
বুধবার সকাল ১০টা ৪৯ মিনিটে চেয়ারম্যানের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ১৯১ পৃষ্ঠার এই রায়ের রায়ের সংক্ষিপ্তসারের প্রথম ৫৬ প্যারা পড়েন বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম।
ট্রাইব্যুনালের অপর বিচারক মো. মুজিবুর রহমান মিয়া পড়েন ৫৭ থেকে ১০৫ তম প্যারা।
১০৬ থেকে ১৩৭ তম প্যারা পড়ে ট্রাইব্যুনাল প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সাজা ঘোষণা করেন।
একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, দেশত্যাগে বাধ্য করা এবং এসব অপরাধে উস্কানি ও সহযোগিতার দায়ে আলীমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে একটি সাদা রংয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে আসামি আলীমকে হাই কোর্ট সংলগ্ন ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয়।
অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে তাকে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। এ সময় তার পরনে ছিল সাদা লুঙ্গি ও ফতুয়া।
রায়কে ঘিরে সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও আশেপাশের এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রবেশ পথে দুই সারিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পুলিশ।
পুলিশের রমনা অঞ্চলের উপ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলছেন, যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে তারা তৎপর ছিলেন।