চন্দনপুরা মাদ্রাসায়ও ইজাহারকে পায়নি পুলিশ

বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলার আসামি হেফাজত নেতা মুফতি ইজাহারুল ইসলামের সন্ধানে বন্দর নগরীর আরেকটি মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়েও বিফল হয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম অফিসবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Oct 2013, 10:59 AM
Updated : 8 Oct 2013, 10:59 AM

মঙ্গলবার দুপুরে দেড় ঘণ্টা ধরে কোতোয়ালি থানার দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চন্দনপুরা মাদ্রাসা নামে পরিচিত এটি জামায়াতে ইসলামী নিয়ন্ত্রিত।

মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোস্তাক হোসেন।

তবে ইজাহারকে মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি। অভিযানে অংশ নেয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মুফতি ইজাহারকে ধরতেই এই অভিযান চালানো হয়েছিল।

সোমবার সকালে লালখান বাজারে হেফাজতের নায়েবে আমির ও নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান ইজাহারের মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ ঘটার পর অভিযান চালিয়ে হ্যান্ড গ্রেনেড ও বিস্ফোরক উদ্ধার করে।

বিস্ফোরণের সময় উপস্থিত থাকলেও সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাকে মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানায়। পরে ইজাহার ও তার ছেলে হারুন ইজাহারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে পুলিশ।

যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদেরের বাড়ির কাছের দারুল উলুম মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে আটক পাঁচজনের মধ্যে একজন স্কুলছাত্রী অন্তু বড়ুয়ার ওপর বোমাহামলার মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাক বলেন, আটকদের মধ্যে দাখিল শ্রেণির ছাত্র মিজানুর রহমান স্কুলছাত্রী অন্তু বড়ুয়ার ওপর হামলার মামলার আসামি।

আটক বাকি চারজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

যুদ্ধাপরাধের রায়ের বিরুদ্ধে গত মার্চ মাসে নগরীর মোমিন রোডে জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতালের সময় ইসলামী ছাত্রশিবিরকর্মীদের ছোড়া হাতবোমায় আহত হয় অন্তু।

অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী অন্তুর ডান চোখের পাশে আঘাত লাগে।