বর্তমানে ভোটার তালিকাভুক্ত ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সীরাই জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়ে থাকেন।
রোববার ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (সংশোধন) বিল-২০১৩’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। পরে এটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী। তখন এটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্ত তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষণ ও গোপনীয়তা রক্ষার বিধান রাখা হয়েছে।
কোনো ব্যক্তি বা নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বিনা অনুমতিতে ভোটার তালিকা বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত্র তথ্য বা উপাত্তের বিষয়ে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
তবে আইন মেনে নির্ধারিত পদ্ধতিতে কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।
এছাড়া সংশোধিত আইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬ মাস আগে পুনর্নিবন্ধন করার নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বা পরে জাতীয় পরিচয়পত্র নবায়ন করা যাবে।