কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা ও মনমোহন সিং। প্রতিবেশী দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপনও করেন।
Published : 05 Oct 2013, 12:03 PM
শনিবার ভেড়ামারায় উপস্থিত থেকে প্রকল্প দুটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক সম্পর্ক আরো জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেন।
ভেড়ামারার এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদ্যুৎমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী অনুষ্ঠানে ছিলেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের দিন থেকে ভারত থেকে ১৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে।
এই প্রকল্পের পাশাপাশি রামপালে যৌথ উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন শেখ হাসিনা ও মনমোহন সিং।
পরিবেশবাদীদের বিরোধিতার মুখে এই প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন করে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রাখার পরামর্শ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এই আমদানি প্রক্রিয়ার সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী আলমগীর হোসেন গত ২৭ সেপ্টেম্বর জানিয়েছিলেন, আমদানির পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়িয়ে অক্টোবরের শেষ দিকে আড়াইশ' মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
নভেম্বর নাগাদ ভারতের বেসরকারি খাত থেকে আরও ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার কথা রয়েছে। এই বিদ্যুৎ আসবে ভারতের পাওয়ার ট্রেডিং কোম্পানির কাছ থেকে।
ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ছয় টাকার বেশি পড়বে না বলে জানিয়েছেন পিডিবির সদস্য (কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স) তমাল চক্রবর্তী।
দুই দেশের গ্রিড লাইনকে সমন্বিত করতে গত ৩০ অগাস্ট থেকে প্রায় ৯৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন বসানো হয়েছে দুই দেশের ভূখণ্ডে। গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য দুই দেশের দুটি সুইচিং স্টেশন বসানো হয়েছে ভারতের বহরমপুর ও বাংলাদেশের ভেড়ামারায়।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় ভারত বাংলাদেশের কাছে এই বিদ্যুৎ বিক্রি করছে। চুক্তি অনুযায়ী পুরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যৎ পেলে বাংলাদেশের লোডশেডিং অনেকটা কমে আসবে বলে আশা করছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।