চট্টগ্রাম নগর পুলিশ সদস্যদের আবাসন সংকট লাঘবে নগরীর মনসুরাবাদ এলাকায় নির্মিত হচ্ছে দ্বিতীয় পুলিশ লাইন।
Published : 27 Sep 2013, 06:41 PM
নগর পুলিশের (সিএমপি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
১৯৭৮ সালে ২ হাজার ৪৮৫ জন লোকবল ও ছয়টি থানা নিয়ে শুরু হয় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কার্যক্রম। গত ৩৫ বছরে জনসংখ্যার পাশাপাশি নগরীতে থানার সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি নগর পুলিশের জনবলও বেড়েছে।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ট্রাফিক) একেএম শহিদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বর্তমানে ১৬টি থানার মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সেবা দিচ্ছে পুলিশ।
“জনবল বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৭৭৪ জন। ভবিষ্যতে জনবল আরো বাড়ানোর জন্য নতুন করে ৫ হাজার ৭০ জনের পদ সৃষ্টির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”
তিনি জানান, দামপাড়া পুলিশ লাইনে বর্তমানে এক হাজার ৬৬৪ জনের আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আটশর মতো পুলিশ সদস্য বিভিন্ন থানায় অবস্থান করছেন। বাকি সব পুলিশ সদস্য ব্যক্তিগত ভাড়া বাসায় থাকেন।
সিএমপির তথ্য অনুযায়ী, দামপাড়া পুলিশ লাইনে বর্তমানে চারটি পুরুষ ও একটি মহিলা ব্যারাক এবং ২০টি আবাসিক ভবন রয়েছে।
পাঁচটি ব্যারাকে এক হাজার ৪০০ জন পুলিশ সদস্যদের আবাসনের ব্যবস্থা করা যায়।
শহিদুর বলেন, প্রায় ৫০ একর জায়গা জমিতে গড়ে উঠা দামপাড়া পুলিশ লাইনসের অর্ধেক জায়গা জুড়ে রয়েছে পাহাড়। এর বাইরে খেলার মাঠ, স্কুল, হাসপাতাল, অস্ত্রাগার, পাম্পঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা থাকায় নতুন করে আর আবাসিক ভবন নির্মাণ সম্ভব নয়।
এ কারণেই নতুন একটি পুলিশ লাইন স্থাপনের জন্য ২০১১ সালের ১৭ জুলাই পুলিশ সদর দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।
প্রস্তাবিত পুলিশ লাইনটি হবে মনসুরাবাদ এলাকায় গণপূর্ত বিভাগের স্টক ইয়ার্ডের ১৪ একর জমিতে।
শহিদুর জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর ভূমি মন্ত্রনালয়ের সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এ বিষয়ে মতামত চেয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা না থাকায় দ্বিতীয় পুলিশ লাইন নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
জমির কাগজপত্র বুঝে পাওয়ার পর ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে স্থাপনা নির্মাণ ও অন্যান্য বিষয়ে পরিকল্পনা করা হবে বলে শহিদুর জানান।