বুধবার শেরে বাংলানগরের কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাচাইয়ের পর তালিকায় ভুলভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই।”
ভোটার তালিকা নিয়ে প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, নতুন তালিকায় গণ্ডগোল রয়েছে। এ তালিকা দিয়ে নির্বাচন হতে পারে না।’
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কাজী রকিব বলেন, “ভুল যদি কিছু থাকে তা সংশোধন করা হবে। নামের বানান, জন্মতারিখ- এসব ভুল থাকলে সংশোধন করা হবে।”
এর আগে একটি বেসরকারি সংস্থা ভোটার তালিকা নিরীক্ষা করে তাতে ৯৯.৯৮ শতাংশ সঠিক পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভোটার তালিকা নির্ভুল ও বিতর্কমুক্ত করার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এটা নিয়ে কোনরকম কম্প্রমাইজ করবো না। এখনো তথ্য আসছে- নতুন ভোটারও হচ্ছে, ভোটার উপযুক্ত নয়, নাম ভুল আছে- সেগুলো খতিয়ে দেখছি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সংশোধন চলবে।”
শতভাগ নির্ভুল তালিকা দিয়ে সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানান কাজী রকিব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আপনারাই বলেন, যেখানে ছবি, পুরো ঠিকানা ও বায়োমেট্রিক্স দিয়ে আমরা চেক করছি, মনে হয় কোনো ভুল ভ্রান্তির স্কোপ নেই।”
বুধবার বিকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এক বিজ্ঞপ্তিতেও একই দাবি করে।
এতে বলা হয়, ভোটার তালিকার তথ্যভাণ্ডারের শুদ্ধতা নিয়ে সম্প্রতি কিছু প্রশ্নের অবতারণা হয়েছে। কমিশন এ পরিপ্রেক্ষিতে দৃঢ়ভাবে বলছে, এ ডাটাবেজ আমাদের জাতীয় সম্পদ। যা সঠিক ও নির্ভুল। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই।
“বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ ভোটার ডাটাবেজ-এর ভুয়সী প্রশংসা করেছে। দেশের সামরিকবাহিনীসহ বেসামরিক কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি ও পেশাজীবির, সর্বোপরি দেশের জনগণের বিশাল কর্মযজ্ঞের ফসল এ ভোটার তালিকা।”
এদিকে ভোটার সংখ্যার ‘গড়মিল’ প্রসঙ্গে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা) ফরহাদ হোসেন বলেন, “মাঠপর্যায়ের তথ্যগুলো আমরা মাত্র কম্পাইল করছি। তথ্যগুলো এখনো ডেস্ক পর্যায়ে। সবকিছু যাছাই না করার আগে এখনই এর ওপর ভিত্তি করে কোনো কিছু বলা সঠিক হবে না। চূড়ান্ত করে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানানো হবে।”