শুক্রবার রাতে গুগল ম্যাপে দেখা যায়, ভারতীয় হাই কমিশন ও ব্রাজিল দূতাবাসের মধ্যবর্তী সড়কের নাম ইংরেজিতে ফেলানী রোড (Felani Rd) লেখা হয়েছে।
বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী ২০১১ সালে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা ফেলানীর মৃতদেহ তখন বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় তুলেছিল।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি আর ঢাকার বারবার আহ্বানের পর বিএসএফ ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তবে বিএসএফের বিশেষ আদালত গত ৬ সেপ্টেম্বর ফেলানী হত্যায় অভিযুক্ত বিএসএফের হাবিলদার অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেয়ার পর বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
File Photo
রায়ের পরপরই বৃহস্পতিবার ফেইসবুকে ঢাকায় ইন্ডিয়ান হাই কমিশনের সামনের রাস্তার নাম ‘ফেলানী রোড’ করার দাবিতে ফেইসবুকে একটি পাতা খোলা হয়। শুক্রবার রাত আড়াইটা পর্যন্ত এতে সমর্থন জানিয়ে ২৬ হাজার ৯৩৯ জন ফেইসবুক ব্যবহারকারী লাইক দেন।
ওই পেইজে বলা হয়েছিল, “সরকার দিক বা না দিক, আজ থেকে গুলশান-১ এর ১৪২ নাম্বার রোডের নাম "ফেলানী রোড"!!!”
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা গ্রামের কিশোরী ফেলানী ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাবার সঙ্গে ভারত থেকে বাড়ি ফিরছিল। কিছুদিন পর তার বিয়ের কথা ছিল।
অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়ে কাঁটাতারের বেড়ায় ৫ ঘণ্টা তার লাশ ঝুলে থাকার ছবি দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচনা হয়।