ফেলানী হত্যা মামলার রায়ে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্যকে ‘নির্দোষ’ ঘোষণার পর ফেইসবুকে এ প্রতিক্রিয়া ছিল আরিফ আর হোসেনের।
শুধু আরিফ নন, শুক্রবার ওই রায়ের পর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক, বিভিন্ন ব্লগ, টুইটারে ছিল তীব্র প্রতিক্রিয়া।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে পঞ্চদশী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের এক জওয়ান।
কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ সরকার ও মানবিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।
এরপর গত ১৩ অগাস্ট ভারতের কোচবিহার জেলায় সোনারি বিএসএফ ছাউনিতে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষের বিচার শুরু হয়। আর রায়ে
অমিয় ঘোষকে ঘোষণা দেয়া হয় ‘নির্দোষ’।
আরিফ আর হোসেন তার স্ট্যাটাসে আরো লিখেছেন “হাজার রেসপন্সের দরকার নেই। তবে মাত্র ১৯৭১ জনকে আশা তো করতেই পারি।” তার এই আবেদনে মন্তব্য পড়েছে মোট ৬৩১টি। পছন্দ করেছেন ৭ হাজার ৫শ ৫৫ জন। আর লেখাটি শেয়ার হয়েছে ৪৬০ বার।
টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপক আব্দুন নুর তুষার লিখেছেন, “ফেলানী হত্যার জন্য ভারতীয় সীমান্ত সেনার বেকসুর মুক্তি হয়েছে। এই নিয়ে তীব্র নিন্দা জানাই।”
ফেলানীর হত্যাকারীর শাস্তি হবে- এমনটিও তিনি আশা করেননি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তানভির আহসান সিদ্দিকী পাভেল নামে একজন লিখেছেন, “ভারতবাসী, তোমাদের যদি লজ্জা থাকে তবে সীমান্ত হত্যার এ বিচারের প্রতিবাদ করতে। তোমরা বিশ্বনাগরিক নও, তোমরা শুধুই ভারতীয় এবং ঘৃণ্য।”
অরূপ রতন নামে একজন লিখেছেন, “খবর: কিশোরী ফেলানী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সীমান্তরক্ষী অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দিয়েছে বিএসএফের আদালত। জাতির প্রতিক্রিয়া: জীবন মানে জি বাংলা।”
এ ঘটনার প্রতিবাদে অনেককেই নিজের ফেইসবুক কভার ফটো হিসেবে ফেলানীর কাঁটাতারে ঝুলন্ত সেই ছবিটি ব্যবহার করেছেন। কেউ কেউ নিজের প্রোফাইল ফটোতেও ওই ছবি দিয়েছেন।