হাই কমিশনের একজন মুখপাত্র বলেন, এটি ছিল ফেলানী হত্যার বিচারের ‘প্রথম ধাপ’।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফের বিশেষ আদালত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যা মামলার রায় দেয়, যাতে অভিযুক্ত বিএসএফের হাবিলদার অমিয় ঘোষকে ‘নির্দোষ’ বলা হয়।
চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এই রায় বাহিনীর মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে বিএসএফ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই খবরে হতাশা প্রকাশ করে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, তিনি ‘সঠিক’ বিচার চান, ন্যায়বিচার চান।
আর ফেলানীর পরিবারকে আইনি সহায়তা দেয়া কুড়িগ্রাম জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এস এম আব্রাহাম লিংকন বলন, এই রায় অনুমোদন পেলে বিএসএফের বেপরোয়া মনোভাব আরো উৎসাহিত হবে।
ভারতীয় হাই কমিশনের মুখপাত্র বলেন, “রায়ের বিষয়টি এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করা উচিৎ।”
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে পঞ্চদশী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের এক জওয়ান।
ফেলানীর বাবা নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা ইউনিয়নের বানার ভিটা গ্রামের নুরুল ইসলাম ১০ বছর ধরে দিল্লিতে কাজ করতেন। তার সঙ্গে সেখানেই থাকতো ফেলানী।
দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বাবার সঙ্গে ফেরার পথে সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে যায় ফেলানীর। এতে ভয়ে সে চিৎকার দিলে বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং পরে লাশ নিয়ে যায়।
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির পক্ষ থেকেও বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে ফেলানী হত্যার বিচারের জন্য চাপ দেয়া হয়।
এরপর গত ১৩ অগাস্ট ভারতের কোচবিহার জেলায় সোনারি বি এস এফ ছাউনিতে অমিয় ঘোষের বিচার শুরু হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বি এস এফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
পাঁচ বিচারকের এই আদালত বৃহস্পতিবার রায়ে বলে, বিএসএফ ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের হাবিলদার অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ আদালত পায়নি।