প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে এই মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট দুটির উদ্বোধন করেন।
নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে জহুরুল হক ঘাঁটিতে পৌঁছালে নৌবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী কমিশনিং অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
জার্মানি থেকে আনা ডর্নিয়ের ২২৮ এনজি মডেলের টহল বিমান দুটি দেশেই সংযোজন করা হয়েছে। নতুন বিমান দুটি সমুদ্র এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারির পাশাপাশি অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে পারবে।
টহল বিমানের কমিশনিং শেষে প্রধানমন্ত্রী নেভাল বার্থে ‘বানৌজা দুর্জয়’, ‘বানৌজা নির্মূল’ ও ‘বানৌজা সুরমার’ কমিশনিং অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এর মধ্যে ‘বানৌজা সুরমা’ তৈরি হয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ডে।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই দেশের সবচেয়ে বড় ও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ বিএনএস বঙ্গবন্ধুকে ‘ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড’ প্রদান করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফসারুল আমিনসহ স্থানীয় সাংসদরা এবং বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে ফটিকছড়ির পেলাগাজী দীঘি এলাকার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
জনসভাস্থলেই তিনি কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিস্থাপন করবেন।
এসব প্রকল্পের মধ্যে নগরীর হালিশহরে ৮৪ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার ৯১টি নতুন খাদ্যগুদাম, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সাততলা নতুন বহির্বিভাগ ভবন, পাঁচতলা নতুন ডেন্টাল বিভাগ ভবন, নতুন প্রশাসনিক ভবন, ৫০ শয্যায় উন্নীত চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৫০ শয্যায় উন্নীত সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, লোহাগাড়া উপজেলা ট্রমা সেন্টার, ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস এবং রফিকুল আনোয়ার-মোরশেদা ট্রাস্ট রয়েছে।
এছাড়া তিনি সিডিএর চিটাগাং আউটার রিং রোড প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম মেডিকেলের সাততলা ছাত্রী হোস্টেলের ভিত্তিস্থাপন করবেন।
জনসভা শেষে বিকালে ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।