মাদারীপুরে যৌনপল্লী উচ্ছেদের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা দিতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
Published : 27 Aug 2013, 09:35 PM
মঙ্গলবার সকালে মাদারীপুর শহরের পুরান বাজারে ‘ইসলামে কওম পরিষদ’ ব্যানারে ওই উচ্ছেদ চালানোর পর সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে উদ্বেগ জানায় মানবাধিকার কমিশন।
হাই কোর্টে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও যৌনপল্লী উচ্ছেদ ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতাও খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার কমিশন।
আবাসস্থল থেকে উৎখাত হওয়া প্রায় পাঁচশ’ যৌনকর্মীর আবাসনের ব্যবস্থা করতেও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
হাই কোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে পুলিশের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে যৌনপল্লীটিতে হামলা চালায় পাঁচশ লোক, যার নেতৃত্বে ছিল ‘ইসলামে কওম পরিষদ’।
হামলাকারীরা পল্লীর মেয়েদের মারধর করে এবং ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। ছেলেমেয়েসহ এখানে বসবাস করতেন পাঁচশ’ যৌনকর্মী।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মেয়েদের সেখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথ করে দিলে বেলা ২টার মধ্যে ওই পল্লী খালি হয়ে যায়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইসলামে কওম পরিষদ এই পল্লী উচ্ছেদের আন্দোলন করে আসছিল।
“হামলার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।”
নাম প্রকাশ না করে ওই পল্লীর এক নারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কথা ছিল আমাদের পুনর্বাসন করা হবে। কিন্তু তা না করে এভাবে আমাদের উচ্ছেদ করা হল। এখন আমরা যাব কোথায়? খাব কী?”
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সুজিত চ্যাটার্জি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ পল্লী জোরপূর্বক উচ্ছেদ না করার আদেশ রয়েছে হাই কোর্টের। তাই উচ্ছেদ কাজটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে হওয়া উচিত ছিল।”
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক রিট আবেদনে গত ৭ মে হাই কোর্ট এ আদেশ দেয় বলে জানান তিনি।