‘না ঝুমার প্রেমিক, না স্বামী’

ঝুমা আক্তারকে ‘অপহরণের’ মামলায় যাকে আসামি করেছেন এই ‘ক্ষুদে গানরাজ’র মা, সেই মো. ইসরাফিল হোসেন পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2013, 04:55 PM
Updated : 7 August 2013, 04:55 PM

জেসমিন বেগমের মামলার পর গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাফিল বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি ঝুমার প্রেমিকও নন, স্বামীও নন।

ঝুমার মায়ের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেইলের’ অভিযোগও করেছেন ঢাকার আশুলিয়া এলাকার এই বাসিন্দা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ‘ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার’ থেকে ঝুমাকে নরসিংদী পুলিশ হেফাজতে দেয়ার কিছুক্ষণ পর ফ্যাক্সে মেসার্স ইসরাফিল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাডে এই বিবৃতি আসে।

ইসরাফিল বলেন, “আমি একজন ব্যবসায়ী এবং সংগীতশিল্পী ঝুমার গানের ভক্ত হওয়ার সুবাদে তাদের পারিবারিক বন্ধু। প্রকৃতপক্ষে আমার ব্যবসায়িক সাফল্য দেখে ঝুমার মা ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।”

জেসমিন বেগম গত ৪ অগাস্ট মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে নরসিংদীর আদালতে মামলা করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৩ জুলাই অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে ঝুমাকে নরসিংদী জেলখানার মোড় থেকে ইসরাফিল ও তার গাড়িচালক ফয়সাল তুলে নিয়ে যায়।

জেসমিন বলেন, “ইসরাফিলের মোবাইলে যোগাযোগ করলে সে জানায়, ঝুমা তার বিবাহিত স্ত্রী। এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে জীবনে হত্যা করে ফেলবে বলেও আমাকে হুমকি দেয়।”

তবে ঝুমা পুলিশকে অপহরণের বিষয়ে কিছু বলেনি বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) শামীমা বেগম।

তিনি বলেন, মায়ের সঙ্গে ‘ভুল বোঝাবুঝির’ কারণে বাড়ি ছেড়েছিল বলে ঝুমা জানিয়েছে।

ইসরাফিল বলেন, “ঝুমা কোথায় কী অবস্থায় আছে, তা তার মা-ই ভালো বলতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস। এছাড়া ঝুমা কোথাও তার মায়ের বক্তব্য সমর্থন করে বক্তব্য দেননি।”

ঝুমা গত দুদিন ধরে তেজগাঁও থানা প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ছিল। বুধবার তাকে নরসিংদী পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। তখন ঝুমার মাও উপস্থিত ছিলেন।

উপকমিশনার শামীমা বলেন, গত সোমবার শিল্পাঞ্চল থানায় এসে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ঝুমা একটি সাধারণ ডায়েরি করে। এরপর তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে এনে রাখা হয়।

২০০৮ সালে ‘মেরিডিয়ান চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয় ঝুমা। নরসিংদীর এই মেয়ে এখন ঢাকা ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজে নবম শ্রেণিতে পড়ে। মায়ের সঙ্গে সে থাকত ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়।