ডিসিরা চান ‘সংক্ষিপ্ত বিচারের’ ক্ষমতা

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষমতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2013, 02:32 PM
Updated : 23 July 2013, 03:46 PM

মঙ্গলবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম এ তথ্য জানান।

এইচ টি ইমাম বলেন, “মূলত জুডিশিয়ারিকে সাহায্য করার জন্যই জেলা প্রশাসকরা সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষমতায় চেয়েছেন। এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং বিচার বিভাগের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”

এ ক্ষমতা দেয়া হলে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের এক করা হবে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “এ নিয়ে প্রশ্নই ওঠে না, জুডিশিয়াল তো সম্পূর্ণ আলাদা, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন আলাদা, জুডিশিয়াল পে-কমিশন আলাদা।”

বিদ্যামান মোবাইল কোর্ট আইনে নির্বাহী ম্যাজিস্টেটদের সামনে কোনো ঘটনা ঘটলেও দোষ স্বীকার না করলে কোন দণ্ড দেয়ার সুযোগ নেই।

সরকারের মেয়াদের শেষ বছরের এই সম্মেলনে ২৪২টি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা সরকারের কাছে এসব প্রস্তাব করেছেন। তবে মঙ্গলবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭টি বিষয়ে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেন।

এই ১৭টি বিষয়ের মধ্যে তৃণমূলে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করা; সরকারি সেবা গ্রহণে সাধারণ মানুষের হয়রানি বন্ধ; নারী ও শিশু নির্যাতন ও পাচার, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার, যৌতুক, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহের মতো ‘সামাজিক ব্যাধির’ বিস্তার রোধ; প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর কল্যাণ; জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “পদ ও পদবী পরিবর্তনের কারণে মাঠ পর্যায়ে অসন্তোষের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, এ সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায় সেগুলো আলোচনা করা হবে।”

বাংলা বান্দা স্থল বন্দরে ইমিগ্রেশন কেন্দ্র চালুর সুপারিশও করেন জেলা প্রশাসকরা।

এবার মাঠ পযায়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কোন অভিযোগ জেলা প্রশাসকরা করেননি বলে জানান এইচ টি ইমাম।

তিনি বলেন, “সরকারের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে মাঠ পযায় প্রতিটি জায়গাতেই একটি টিম না হলে কাজ হয় না, এ টিমের মধ্যে গড়মিল থাকলে জনগণ, সরকার ও রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সুতরাং টিম যাতে ভালভাবে কাজ করে সম্মেলনের শেষ দিকে এ বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেয়া হবে।”

এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান শিকদার উপস্থিত ছিলেন।